বিক্রম রায়, কোচবিহার: অন্তঃসত্তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল অ্যাম্বুল্যান্স। এদিকে, উদ্ধারকারী অ্যাম্বুল্যান্স আসতেও দেরি। এমন টেনশনের মুহূর্তে কী করণীয়, তা ভেবে যখন মরিয়া পরিবারের লোকজন, তখন প্রবল যন্ত্রণা সহ্য করে পথেই সন্তান প্রসব করলেন দুর্ঘটনায় জখম তরুণী। শনিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া করলা গ্রাম এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন প্রসব যন্ত্রণা উঠেছিল জরিফা খাতুন নামে ওই তরুণীর। সীমান্ত লাগোয়া করলা গ্রামে তাঁদের বাস। সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পথেই ঘটে বিপত্তি। নয়ারহাট এলাকায় বাইকের সঙ্গে ওই অ্যাম্বুল্যান্সটির ধাক্কা লাগে। অ্যাম্বুল্যান্স চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এরপর রাস্তার ধারের লাইট পোস্টে ধাক্কা মারে। প্রসূতি ও তাঁর আত্মীয়- দুজনেই দুর্ঘটনায় জখম হন। এদিকে ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি দুর্ঘটনার পর কার্যত বিকল হয়ে যায়। প্রসূতিকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। ফলে উদ্ধারকারী অ্য়াম্বুল্যান্সকে খবর পাঠানো হয়।
কিন্তু সেই অ্য়াম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই প্রবল প্রসব বেদনা অনুভব করেন তরুণী। রাস্তাতেই পুত্র সন্তান প্রসব করেন জরিফা খাতুন। পরে অ্যাম্বুল্যান্স এসে মা ও সদ্য়োজাতকে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। প্রসূতি, সদ্যোজাত ও জখম হওয়া আত্মীয় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মা ও সদ্যোজাত বিপদমুক্ত। দুর্ঘটনায় জখম হওয়া প্রসূতি ও মহিলার চিকিৎসা চলছে।