বাবুল হক, মালদহ: বিউটি পার্লারে গিয়ে ব্রাইডাল মেকআপ করার বায়না করেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু সেই বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন পেশায় পুলিশকর্মী স্বামী। সেই বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল! স্বামী রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। ঘটনায় অভিমানে 'আত্মঘাতী' হলেন স্ত্রী! যদিও মৃতার বাপেরবাড়ির তরফে অভিযোগ, মেয়েকে খুন করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহে। মৃতার নাম সোনালি ভক্ত।
বছর ২৬ বয়সের সোনালির বাপেরবাড়ি গাজোল থানার আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিদাসপাড়া এলাকায়। মাস নয়েক আগে ওই তরুণীর বিয়ে হয়েছিল গাজোলেরই মাঝরা এলাকার পুলিশকর্মী বাপ্পা দাসের সঙ্গে। তিনি রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত, উত্তর দিনাজপুরের রাজগঞ্জে পোস্টিং। দিন কয়েক আগে ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে পার্লারে গিয়ে ব্রাইডাল মেকআপ করার জন্য বায়না ধরেছিলেন সোনালি। তবে সেই কথায় রাজি হয়নি বাপ্পা। তাই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। অভিমানে সোনালি বাড়িতে রাখা অ্যাসিড খেয়ে ফেলেন বলে দাবি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
যদিও এই বিষয়টি মানতে পারেননি মৃতার বাবা সুধীর ভক্ত। জামাই পুলিশকর্মী বলে 'ভয়ে' প্রকাশ্যে কিছু বলতেও পারছেন না বলে দাবি তাঁর। যদিও মৃতার বাপেরবাড়ির তরফে কয়েকজনের অভিযোগ, সোনালিকে খুন করা হয়েছে। যদিও শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই অভিযোগ মানতে চায়নি। গাজোল থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। খুন নাকি আত্মহত্যা সেই বিষয়টি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই পরিষ্কার হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
