সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সেনার ভয়ে কাঁপছে লালফৌজ (PLA)! ভয়ে ভারত-চিন সীমান্তে আসার আগে নাকের জলে চোখের জলে এক করছেন চিনের সেনা! একটি ভিডিও প্রচার করে এমনটাই দাবি করেছেন তাইওয়ানের সংবাদমাধ্যম। যদি এই প্রচারকে ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছে চিনা সংবাদমাধ্যম।
সম্প্রতি তাইওয়ানের একাধিক মিডিয়া একটি ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে দেখা গিয়েছে, চিনের ‘তরুণ তুর্কি’রা সেনার বাসে কাঁদতে কাঁদতে সীমান্ত চলেছে। রীতিমতো হাপুস নয়নে কাঁদছেন তাঁরা। পূর্ব চিনা (China) প্রদেশ আনহুইয়ে একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্কের প্রকাশিত ভিডিওটিত দেখা গিয়েছে, ইংঝু জেলার ফুইয়াং শহর দিয়ে সেনা বাস যাচ্ছে। লালফৌজের তরুণ তুর্কিরা সেই বাসে বসে চিনা সামরিক গান ‘গ্রিন ফ্লাওয়ার্স ইন দ্য আর্মি’ গাইছেন। সঙ্গে সঙ্গে চোখের জলে ভাসছেন সেই জওয়ানরা। তাঁরা ভারত-চিন সীমান্তে কর্তব্যরত বলে বলে দাবি করেছে তাইওয়ালেন একাধিক সংবাদ মাধ্যম।
[আরও পড়ুন : ৫ বছর মামলা লড়ে জার্মানিতে মাইকে আজানের অধিকার ফিরে পেলেন মুসলিমরা]
লিবার্টি টাইমস ও তাইওয়ান নিউজের মত কয়েকটি তাইওয়ানি সংবাদমাধ্যম, এই কান্নাকে ‘মৃত্যুভয়’ বলে ব্যাখ্যা করেছে। তাঁদের দাবি, পূর্ব লাদাখে (Ladakh) ভারতীয় সেনার সামনে চিনের ল্যাজেগোবরে অবস্থা। আর সেই পরিস্থিতির কথায় মাথায় রেখেই মৃত্যু ভয়ে কাঁপছে সেনা জওয়ানরা। এই কান্না তারই প্রতিফলনমাত্র। উল্লেখ্য, এই সংবাদমাধ্যমগুলি চিন বিরোধী অবস্থানের জন্যই বিশ্বে জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিডিওটি। ভিডিওটি শেয়ার করে পাকিস্তানি কমেডিয়ান জায়েদ হামিদ লিখেছেন, “আমরা পাকিস্তানিরা তোমায় সমর্থন করি চিন। সাহস রাখ”।
[আরও পড়ুন : ফের বর্ণ বিদ্বেষ বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন মুলুক, গুলিবিদ্ধ ২ পুলিশ কর্মী]
যদিও এই দাবি নস্যাৎ করেছে চিনা সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম। তাঁদের পালটা দাবি, তাইওয়ান চিনা সেনাদের একটি আবেগপূর্ণ ভিডিও নিয়ে মিথ্যে প্রচার করছে। ওই সেনারা পরিবারকে বিদায় জানাচ্ছিল। তাঁদের ছেড়ে যাওয়ার আবেগেই চোখে জল এসেছিল। ভারতে ভয়ে মোটেই কাঁদেনি চিনের তরুণ তুর্কিরা। তবে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনার বলিষ্ঠ পদক্ষেপে কার্যত কোনঠাসা চিনা সেনা। তাই এই ভিডিওর সত্যতা একেবারে উড়িয়ে দেওয়াও চলে না।
The post ভারতের সীমান্তে যাওয়ার আগে ‘প্রাণভয়ে’ হাউহাউ করে কাঁদছে চিনা সেনা! ভাইরাল ভিডিও appeared first on Sangbad Pratidin.