সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) বধে ভ্যাকসিন আসার প্রহর গুনছে গোটা দেশ। গোটা দেশের করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী। সামান্য হলেও কমল রাজ্যের করোনা সংক্রমণও। স্বাস্থ্য়দপ্তরের নতুন পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যে ২৭১০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। তুলনায় অনেকটাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯১৩ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৩.৮৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, শুক্রবার দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭৫৩, শনিবার তুলনায় তা খানিকটা কম। কমেছে মৃত্যুর সংখ্য়াও। এ নিয়ে রাজ্যে মোট করোনার বলি ৯০১০। করোনায় মোট আক্রান্ত ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৫০৫, যার মধ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৩,০৩৪। পরিসংখ্যান বলছে, এ পর্যন্ত করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৭১ জন।
[আরও পডুন: পড়ুয়াদের কাছে সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া লক্ষ্য, ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে থাকবে স্কুল কর্তৃপক্ষ]
তবে সংক্রমণের শীর্ষে সেই কলকাতাই। এখানে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২৭৭১। ঠিক পিছনেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, এখানে করোনা পজিটিভ ২১৪২। সংক্রমণের গোড়া থেকেই এই দুই জায়গাই বারবার চিন্তিত করেছে বিশেষজ্ঞদের। বছরশেষেও সেই উদ্বেগ কমছে না। করোনাযুদ্ধে এগিয়ে দুই জেলা – কালিম্পং ও ঝাড়গ্রাম। দুই জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা এই মুহূর্তে একশোর কম। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২,১০৭ টি, যার মধ্যে ৮.১৪ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৩,৪০,১৭১টি। নতুন বছরের প্রথমার্ধ্বে প্রতিষেধক হাতে আসবে বলে আশা। তবে তার আগে পর্যন্ত করোনাযুদ্ধের বড় হাতিয়ার সাবধানতা অবলম্বন, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।