সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৩ সালের কুভেম্পু রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাচ্ছেন জনপ্রিয় সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (Shirshendhu Mukhopadhyay)। প্রয়াত কন্নড় কবি কুভেম্পু, যিনি জাতীয় কবি, তাঁর নামাঙ্কিত এই জাতীয় পুরস্কার এই প্রথম পাচ্ছেন কোনও বাঙালি সাহিত্যিক। গত বছর এই পুরস্কার পেয়েছিলেন খ্যাতিমান তামিল লেখক ইমায়াম। এবার বাংলায় এই পুরস্কার আসায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশির জোয়ার রাজ্যের সাহিত্য জগতে।
জানা গিয়েছে, এই পুরস্কারের নির্বাচন কমিটির সভাপতি বি এল শংকর। তিনি রাষ্ট্রকবি কুভেম্পু ট্রাস্টেরও প্রধান। তাঁর সঙ্গে ওই কমিটিতে রয়েছেন নির্মলকান্তি ভট্টাচার্য, গীতা বিজয়কুমার, অগ্রহর কৃষ্ণমূর্তি। কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, তিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে ভারতীয় সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর হাতে পুরস্কারমূল্য ৫ লক্ষ টাকা, রৌপ্য পদক ও মানপত্র তুলে দেওয়া হবে বলেও কমিটির তরফে জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: অভিষেককে নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট]
প্রসঙ্গত, বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৯৮৯ সালে তাঁর ‘মানবজমিন’ উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যাসাগর পুরস্কার (১৯৮৫), আনন্দ পুরস্কার (১৯৭৩ ও ১৯৯০)। ২০১২ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার পান। ২০২১ সালে তিনি সাহিত্য অকাদেমির ফেলো নির্বাচিত হন।
১৯৩৫ সালে পূর্ববঙ্গের ময়মনসিংহ (বর্তমানে বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেছিলেন শীর্ষেন্দু। প্রথমে ছোটগল্প, পরে উপন্যাস। এর পর শিশুসাহিত্যেও নিজেকে প্রমাণ করেন তিনি। দ্রুত পৌঁছে যান জনপ্রিয়তার শিখরে। ‘যাও পাখি’, ‘মানবজমিন’, ‘পার্থিব’, ‘ফজল আলি আসছে’র মতো উপন্যাস ও অসংখ্য ছোটগল্পের পাশাপাশি ছোটদের সাহিত্যেও সোনার ফসল ফলিয়েছেন শীর্ষেন্দু। ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’ থেকে শুরু করে ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’, ‘পাগলা সাহেবের কবর’, ‘পটাশগড়ের জঙ্গলে’, ‘পাতালঘর’-এর মতো উপন্যাসও বাঙালি পাঠকের চিরকালীন সঙ্গী হয়ে রয়েছে। প্রায় ৯০ ছুঁই ছুঁই বয়সেও চলেছে তাঁর কলম। আজও শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের নতুন লেখার জন্য অধীর অপেক্ষা থাকে পাঠকের। এবার বর্ষীয়ান তাঁর সাহিত্যের জন্য ছুঁলেন নয়া মাইলফলক। যে সম্মান কেবল তাঁকেই নয়, গর্বিত করল আপামর বাঙালি সারস্বত সমাজকে।