সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'এখনও চেনা চেনা আতরের গন্ধ', কিন্তু সারেঙ্গির সুর থমকে গিয়েছে। কিংবদন্তি সারেঙ্গিবাদক পণ্ডিত রাম নারায়ণের জীবনাবসান। ৯৬ বছরের শিল্পীর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে শোনা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। শনিবার তাঁর প্রয়াণের খবর জানিয়ে শোকপ্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়া হয় সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে।
রাজস্থানের উদয়পুরের কাছে জন্ম রাম নারায়ণের। ছোটবেলা থেকেই সারেঙ্গির প্রতি আকর্ষণ ছিল। সেই সময় থেকেই প্রথাগত তালিম শুরু হয়ে যায়। রাজস্থানে আসা সঙ্গীতশিল্পীদের থেকেও শেখার চেষ্টা করতেন রাম নারায়ণ। ১৯৪৪ সালে লাহোরের অল ইন্ডিয়া রেডিওতে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু দেশভাগের পর শিল্পী চলে আসেন দিল্লিতে।
দিল্লিতে তেমন সুযোগ পাননি রাম নারায়ণ। ১৯৪৯ সালে তিনি চলে আসেন মুম্বই। সেখান থেকেই তাঁর খ্যাতির সফর শুরু হয়। পাঁচের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই একক শিল্পী হিসেবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সঙ্গীত পরিবেশন করতে শুরু করেন পণ্ডিত রাম নারায়ণ। পণ্ডিত রবি শংকরের যশ তখন পাশ্চাত্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই রাম নারায়ণ সোলো অ্যালবাম তৈরি করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক সফর করেছিলেন দাদা তথা বিশিষ্ট তবলাবাদক চতুর লালের সঙ্গে।
চতুর লাল পণ্ডিত রবি শংকরকেও সঙ্গত দিয়েছিলেন একসময়। ১৯৬৫ সালে চতুর লাল প্রয়াত হন। দাদার মৃত্যুর পর মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন পণ্ডিত রাম নারায়ণ। কিন্তু দুবছর পরে আবারও সারেঙ্গির সুরেলা সফরে ফেরেন তিনি। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির পাশাপাশি পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণ (২০০৫ সাল) সম্মানে ভূষিত করা হয় শিল্পীকে। ২০১৩ সালে রাজস্থান রত্ন সম্মান পান তিনি। শিল্পীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণণ।