সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিডের কারণে দু’বছর কলকাতা বইমেলা (Kolkata Book Fire) হতে পারেনি।ফলে প্রথমদিন থেকেই বইকে ঘিরে অন্যরকম উন্মাদনা দেখা গিয়েছে এবারের মেলায়। প্রতিদিনই ভিড় আগের দিনের রেকর্ডকে ভেঙে দিচ্ছে। শনিবার কার্যত জনপ্লাবন দেখা গেল সল্টলেকের বইমেলা প্রাঙ্গণে। আর এর মধ্যেই এক অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী হল বইমেলা। জনপ্রিয় লেখিকাকে এক স্টল থেকে অন্য স্টলে যেতে হল বাউন্সার সঙ্গে নিয়ে।
সাধারণত চিত্রতারকা বা রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়, কিন্তু বাঙালি লেখকের ক্ষেত্রে এই ঘটনা কিন্তু বেনজির। শনিবার বইমেলায় এসেছিলেন এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক দেবারতি মুখোপাধ্যায় (Debarati Mukhopadhyay)। তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য, তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য লম্বা লাইন পড়ে যেতে দেখা গেল। একসময় সেই লাইন থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে লেখিকাকে ঘিরে ধরেন শয়ে শয়ে মানুষ। বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা করতে হয় পেশাদার বাউন্সারদের। তাঁরা এসে জমায়েতকে পরিচালনা করেন।
[আরও পড়ুন: বইমেলায় একের পর এক পকেটমারি, পুলিশের জালে জনপ্রিয় অভিনেত্রী]
মালদহ থেকে বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন ঐন্দ্রিলা বসাক। লেখকের সই সংগ্রেহের লাইনে তিনি অন্তত ষাট জনের পিছনে। ঐন্দ্রিলা বললেন, “দেবারতি প্রিয় সাহিত্যিক। তাঁর লেখা, তাঁর ব্যক্তিত্ব, তাঁর জীবনদর্শন সবকিছুই খুব উদ্বুদ্ধ করে আমাদের।” ক্যানিং থেকে আসা অবনীশ পাঠক আইটি-তে চাকরি করেন। তাঁর আবার বক্তব্য, “ওঁর লেখা পড়ে আমাদের আমাদের আইটি জগৎকে এত প্রাঞ্জলভাবে বইয়ের পাতায় পেয়ে মনে হয়েছিল, নিজেকেই দেখতে পাচ্ছি। উনি অনেক রিসার্চ করে লেখেন, অনেক কিছু জানা যায় পড়লে।”
[আরও পড়ুন: ১৪ ঘণ্টা পরও জ্বলছে ট্যাংরার গুদামের আগুন, ধোঁয়ায় ঢেকেছে এলাকা, আতঙ্কিত স্থানীয়রা]
৩২ বছরের দেবারতি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পর কগনিজেন্ট ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রবেশনারি অফিসারের চাকরি ছেড়ে ডব্লুবিসিএস হন। তিনি বাংলা সাহিত্য এগোচ্ছে না পিছোচ্ছে- আলোচনায় অংশ নেন। ততক্ষণে অবশ্য বাউন্সাররা চলে গিয়েছেন। পাঠকদের ভিড়েই থাকতে চেয়েছিলেন। সাহিত্য উৎসবের আলোচনায় অংশ নেন জনপ্রিয় সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত, কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, সাহিত্যিক হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্তরাও। অনুষ্ঠানে আলাপচারিতায় ছিলেন ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।