shono
Advertisement
Bortir Bill

ছবির মতো সুন্দর! সস্তায় প্রি ওয়েডিং শুটের নয়া ডেস্টিনেশন বর্তির বিল, জানেন ঠিকানা?

পড়ন্ত সূর্যের আলোমাখা বিকেলে বিলে নৌকাবিহারের আনন্দই আলাদা। সঙ্গে ফটোশুটের মজা।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 08:30 PM Dec 03, 2024Updated: 09:54 PM Dec 03, 2024

অর্ণব দাস, বারাসত: প্রি ওয়েডিং ফটোশুট মানেই বর্তির বিল! ক্যামেরার লেন্সের হাত ধরে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বর্তির বিল নিয়ে এখন এমনই বলছেন সবাই। তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নির্জন এই এলাকাতেও খুব দ্রুত ভিড় বাড়ছে, গজিয়ে উঠেছে দোকান। পড়ন্ত সূর্যের আলোমাখা বিকেলে বিল ঘোরানোর জন্য রংবেরঙের নৌকার সংখ্যাও এখন বেড়েছে। তাই বর্তির বিলকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়তে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। শীতে পর্যটনের মরশুমে বর্তির বিল পর্যটকদের আর বেশি করে টানবে বলে মনে করা হচ্ছে। আপনিও ঝটপট জেনে নিন ঠিকানা।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার তাড়াবেড়িয়ে ও বেড়াবেড়ি পঞ্চায়েতের মাঝে অবস্থান বর্তির বিলের। সেখানে সহজে পৌঁছনোর রাস্তা হল, বারাসত-বারাকপুর রোড ধরে সোজা চলে যাওয়া। নীলগঞ্জ ব্যাঙ্ক মোড় থেকে বাইক বা টোটোয় খুব বেশি হলে সময় লাগে ২০-২৫মিনিট। মূলত বর্ষার জলেই কয়েকশো বিঘের বিলটি ভরাট থাকে। তাই কড়া গ্রীষ্মেও বৃষ্টি হলেই সেখানে ভিড় বাড়তে শুরু করে। বিলে ঘোরার জন্য থাকে ২৫-৩০টি রঙিন নৌকা। আর রাস্তার দুধারে সারি সারি পাটকাঠি দাঁড়ানো। আকাশ পরিষ্কার থাকলে তো ফটোশুটের জন্য একদম আদর্শ পরিবেশ! একটি নৌকায় 'হবু দম্পতি', অন্য নৌকায় ফটোগ্রাফার। আধঘন্টার জন্য মাথা পিছু ভাড়া ১৫০ টাকা করে। ফলে বিয়ের আগে দারুণ লোকেশনে সস্তায় সারাদিনে মনের মতো অনেক ফটোই তোলা হয়ে যায়।

বারাকপুর-বারাসত রোডে নীলগঞ্জ ব্যাঙ্ক মোড় ধরে সোজা গেলেই বর্তির বিল। ছবি সৌজন্য: ফেসবুক।

বারাসতের বাসিন্দা ফটোগ্রাফার বিশ্বরূপ ঘোষ বললেন, "ওখানে পরিবেশ, মানুষ খুবই ভালো। বিলে যে নৌকা চলে তাতে সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকা থাকে। ফলে ছবি তুললে নৌকার প্রজেকশন খুব ভালোভাবে বোঝা যায়। ড্রোনে তুললে তো এই দৃশ্য অপূর্ব লাগে। প্রতিদিনই প্রায় ৭-১০ জন সেখানে প্রি ওয়েডিং ফটোশুটের জন্য আসে। এলাকার আশপাশ থেকে তো বটেই কন্টাই, বালি, কাটোয়া থেকেও অনেককে বর্তির বিলে প্রি ওয়েডিং ফটো শুটে যেতে দেখেছি।" তাই স্থানীয়রাও চাইছেন তাদের 'বর্তির বিল' সংলগ্ন এলাকা আরও সাজিয়ে তুলে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠুক।

বিলে নৌকাবিহারের দারুণ সুযোগ। ফাইল ছবি।

এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা তথা সমাজসেবী মহম্মদ জয়নাল হালদার বলেন, "যেভাবে বর্তির বিলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে তাতে পর্যটক কেন্দ্র গড়লে এলাকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। গ্রামের মানুষের রোজগার বাড়বে।" জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, "জেলাশাসকের সঙ্গে এলাকাটি প্রদর্শন করেছিলাম। সেখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার যথেষ্ট সম্ভবনা আছে। এনিয়ে স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করব। তার পর প্রয়োজনীয় ডিপিআর তৈরি করে পর্যটন দপ্তরের কাছে পাঠানো হবে।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement