সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ নতুন না। এর জেরে অনেক ক্ষেত্রে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল। তেমনই এক গাফিলতির জেরে রোগিনীকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক বেসরকারি হাসপাতালকে। উল্লেখ্য, ২০ বছর আগে অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকের ভুলে ৩.২ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের সূচ রয়ে গিয়েছিল রোগিনীর শরীরের ভিতরে। তার জেরেই মোটা অঙ্কের জরিমানার নির্দেশ দিল কর্নাটকের ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। ঠিক কী ঘটেছিল?
এই গল্প বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা বছর ৩২ এর পদ্মাবতীর। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি বেসরকারি হাসপাতালে হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করান তিনি। ওই হাসপাতালে তাঁর অ্যাপেনডিক্স বাদ দেওয়ার অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। অভিযোগ, চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার সফল জানালেও পরদিন থেকে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় পদ্মাবতীর। চিকিৎসকদের সেকথা জানালে তাঁরা সাধারণ ব্যথার ওষুধ দেন। যদিও ওষুধ খেয়ে তেমন লাভ হয়নি। মাঝে মাঝেই তীব্র পেট ব্যথায় কষ্ট পেতেন তরুণী। শেষ পর্যন্ত ২০১০ সালে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের দেখান তিনি।
[আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটি! দিল্লির পরিবর্তে ম্যাসকটে গেল ইন্ডিগোর বিমান]
সেখানে পরীক্ষা করা হল ধরে পড়ে, তরুণীর পেটের মধ্যে ৩.২ সেন্টিমিটারের আস্ত একটি সূচ গেঁথে রয়েছে! সূচটি অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়। সুস্থ হয়েই আগের হাসপাতালের নামে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলার ১৪ বছর পর সম্প্রতি রায় দিয়েছে আদালত। পদ্মবতীর পক্ষেই রায় ঘোষণা হয়েছে। ওই বেসকারি হাসপাতাল এবং অভিযুক্ত দুই চিকিৎসককে ভয়ংকর গাফিলতির ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এছাড়াও মামলা চালানোর খরচ হিসেবে অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত।