সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাগী শিক্ষক-শিক্ষিকারা নাকি ভাল হন৷ মেরে বকে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া শিখিয়ে দেন৷ কিন্তু কতটা বকবেন বা কতটা মারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে৷ লেখাপড়া না করা বা অমনোযোগী হওয়ার অপরাধে ছাত্র-ছাত্রীর উপর নৃশংস অত্যাচার কি আদৌ আগামী প্রজন্মকে সুশিক্ষিত করে তুলতে পারে?
বেঙ্গালুরুতে প্রাইভেট টিউটরের কাণ্ডকারখানা ‘কড়া’ হওয়ার বিষয়ে সেই প্রশ্নই রেখে যাচ্ছে৷ হোমওয়ার্ক করতে ভুলে যাওয়ায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে বেধড়ক মারল শিক্ষিকা৷ বেল্ট দিয়ে শিশুটির পিঠে মেরে, রক্ত বের করে দেয় সে৷
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সাত বছরের ভাবনা স্থানীয় গৃহ শিক্ষক লতার কাছে পড়তে যায়৷ কিন্তু হোমওয়ার্ক না করে নিয়ে যাওয়ার অপরাধে তাকে বেল্ট দিয়ে মারে লতা৷ যন্ত্রণায় কেঁদে ফেলে ছোট্ট মেয়েটি৷ ভয় পেয়ে বাড়ি চলে যায় সে৷ এরপর মা-বাবাকে এই কথা জানালে তাঁরা শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান৷
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ লতাকে গ্রেফতার করেছে৷ লতার বিরুদ্ধে ৩২৪, ৫০৪ এবং জুভেনাইল অ্যাক্ট অনুযায়ী ৮২ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে৷ পুলিশের তরফে জন্য হয়েছে, আগে থেকেই লতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ছিল৷ ছাত্র-ছাত্রীরা পড়া না পারলেই সে তাদের ভীষণ মারতো৷ কিন্তু অভিভাবকরা ভাবতেন এতে বোধহয় তাঁদের ছেলে-মেয়েদের ভালই হবে৷ তাই তাঁরা ঘটনাটি জানলেও কখনও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাননি৷ কিন্তু ভাবনার পরিবারের তরফ থেকেই প্রথম লিখিত অভিযোগ জানানো হয়৷ আর এরপরেই লতাকে গ্রেফতার করা হয়৷
The post হোমওয়ার্ক না করায় শিশুকে বেল্টের প্রহার শিক্ষিকার! appeared first on Sangbad Pratidin.