সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে। জারি রয়েছে মৃত্যুমিছিল। এই আবহে আমেরিকায় গিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বুধবার তিনি ভাষণ রাখবেন মার্কিন কংগ্রেসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি তিনি সাক্ষাৎ করবেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও। আমেরিকার মাটি থেকে এই লড়াই থামানোর কোনও বার্তা দেন কি না নেতানিয়াহু সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।
যত দিন যাচ্ছে গাজায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধের দাবি আরও জোরাল হচ্ছে। চাপ বাড়ছে ইজরায়েলের উপর। কিন্তু তাতেও দমছেন না সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গাজায় মৃত্যুমিছিল নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ‘বন্ধু’ আমেরিকাও। কয়েকদিন আগেই তেল আভিভকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু তাতে খুব একটা আমল দেয়নি ইহুদি দেশটি। এই পরিস্থিতিতেই সোমবার ওয়াশিংটনে পা রাখেন নেতানিয়াহু। বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ রাখার কথা রয়েছে তাঁর। বিবিসি সূত্রে খবর, এদিন গাজা যুদ্ধ নিয়ে কথা বলবেন নেতানিয়াহু। রক্তক্ষয়ী এই সংঘাতে মার্কিন প্রশাসনের থেকে আরও জোরাল সমর্থনের অনুরোধ জানাবেন তিনি। নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসন। তবে গাজায় মৃত্যুমিছিলের প্রতিবাদে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ বয়কট করেছেন বেশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতা।
জানা গিয়েছে, মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার পর নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনে ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে। গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে কথা হতে পারে তাঁদের মধ্যে। এর পর শুক্রবার ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন নেতানিয়াহু। তাঁদের বৈঠকেও উঠে আসবে গাজা যুদ্ধের প্রসঙ্গ। প্যালেস্তিনীয়দের মৃত্যু ও গাজায় সংঘাত থামানো নিয়ে সরব হলেও ইজরায়েলের পাশে রয়েছে বাইডেন প্রশাসন। আগামিদিনে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরলে তিনি কতটা নেতানিয়াহুর দিকে সাহায্যের হাত বাড়াবেন সেদিকেই নজর কুটনৈতিক মহলের। কারণে চলতি বছরের নভেম্বরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর প্যালেস্তিনীয়দের মৃত্যু নিয়ে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন আমেরিকার বহু মানুষ। তাই ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে ট্রাম্প কোন পক্ষ নেবেন সেটাই এখন দেখার। এই প্রেক্ষিতে নেতানিয়াহুর এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশ্লেষকদের।