shono
Advertisement

বাচ্চার হাতে বাজি? এই সতর্কতা নিতে ভুলবেন না!

সামান্য ভুলচুকে অঘটন ঘটলে কী করবেন, সেই পরামর্শই দিচ্ছেন বিশিষ্ট ডাক্তাররা৷ তাঁদের নম্বর রাখুন হাতের কাছে। The post বাচ্চার হাতে বাজি? এই সতর্কতা নিতে ভুলবেন না! appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 03:31 PM Oct 29, 2016Updated: 10:01 AM Oct 29, 2016

সোমা মজুমদার: বাজির আতঙ্কে যাঁরা ঘরে থাকেন কিংবা বাচ্চার হাতে ফুলঝুরি তুলে দেন না, তাঁরা কি ঠিক করেন? উঁহু! সেক্ষেত্রে যে বাড়ির খুদেটাকে বঞ্চিত করা হয় আনন্দ থেকে। অতএব, রং-মশাল, হাওয়াই নিশ্চিন্তে জ্বালান৷ চোখকে দেখতে দিন রঙিন আলোর ঝলকানি৷ শুধু একটু সাবধানে! একটু সতর্ক হয়ে বাজি পোড়ালেই বিপদকে দূরে রাখা যায়৷ তবু সামান্য ভুলচুকে অঘটন ঘটলে কী করবেন, সেই পরামর্শই দিচ্ছেন বিশিষ্ট ডাক্তাররা৷

Advertisement

চোখ বাঁচাতে:
১) বাচ্চারা যেন একা একা বাজি না ফাটায়৷
২) বাচ্চাদের বাজি হাতে করে ফাটাতে দেবেন না৷
৩) চোখ থেকে সবসময় দূরত্ব বজায় রেখে বাজি ফাটান৷
৪) বাজি ফাটানোর সময় কাছাকাছি এক বালতি জল রেখে দিন৷ চোখে লাগলে প্রথমে ঠান্ডা জল দিতে হবে৷
৫) বাজির ধোঁয়া চোখে ঢুকে গেলে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকলে আরাম হবে৷
৬) বারুদ জাতীয় দ্রব্য ধরার পর অবশ্যই হাত ধুয়ে নিতে হবে৷
৭) যাঁদের চোখে পাওয়ার নেই, তাঁরা চোখ বাঁচাতে পাওয়ার ছাড়া চশমা পরতে পারেন৷
৮) বাজির মশলা ঢুকে চোখে যন্ত্রণা, অস্বস্তি অথবা যে কোনও সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷ দেরি হলে বিপদের সম্ভাবনা থাকে৷

বাজি থেকে চোখের ক্ষতি:
১)
বাজির কণা চোখে ঢুকলে যন্ত্রণা হতে পারে৷
২) কর্নিয়ায় ঢুকে গেলে চোখে ইনফেকশন হবে৷ রোগী চোখ খুলতে পারবেন না৷ আলোতে তাকাতে অসুবিধা হবে৷
৩) অনেকসময় তুবড়ি বা রংমশাল ফেটে চোখের গ্লোব ব়্যাপচার ফেটে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে৷
৪) বাজির মশলা চোখে লাগলে চুলকানি এবং কনজাংটিভাইটিস হয়৷
৫) বাজির ঠোঙা থেকে চোখে অস্বস্তি বোধ হতে পারে৷

আরও জানতে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের কনসালট্যান্ট আই সার্জন ডা. কুমকুম ঘোষকে ফোন করুন এই নম্বরে- 9830030171। বিশদে জানতে ক্লিক করুন epaper.sangbadpratidin.in

ত্বকের যত্ন নিন:
সুতির জামাকাপড় পরে বাজি ফাটান৷ ফুলহাতা জামা এবং ঢাকা জুতো পরে বাজি ফাটাতে পারেন৷ বাজি ফাটানোর জায়গায় খালিপায়ে হাঁটা উচিত নয়৷
১) হাতে-পায়ে আগুনের ফুলকি লাগলে ঠান্ডা জল দিন৷
২) শরীরের কোনও অংশ পুড়ে গেলে আলু থেঁতো করে ক্ষতস্থানে দিলে তৎক্ষণাৎ উপকার পাওয়া যায়৷
৩) পুড়ে যাওয়া অংশে ডিমের সাদা অংশ দিলে জ্বালা কমে যাবে৷
৪) বাজির আগুন থেকে মারাত্মকভাবে পুড়ে গেলে কিংবা বাজি ফাটানোর পরে ত্বকের কোনও সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷
৫) বাজি ফাটানোর পরে পোড়া বাজির অংশ নির্দিষ্ট জায়গায় না ফেলে দিলে তা লেগে পা পুড়ে যেতে পারে৷ বাজির আগুন থেকে বেরনো আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি অনেক সময় ত্বকের ক্ষতি করে দেয়৷
৬) ন্যূনতম দূরত্ব না রেখে যে কোনও ধরনের বাজি, পটকা হাতে করে ফাটালে ত্বক পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ বাজিতে সালফার, পটাসিয়াম, তামা, লোহাচুরের মতো দ্রব্য থাকায় তা ত্বকের উপর পড়লে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে৷

আরও জানতে ডার্মাটোলজিস্ট ডা. রথীন্দ্রনাথ দত্তকে ফোন করুন এই নম্বরে- 9153319842। বিশদে জানতে ক্লিক করুন epaper.sangbadpratidin.in

অ্যালার্জি থেকে সাবধান:
১)
কোনও বদ্ধ জায়গায় বাজি ফাটানো উচিত নয়৷ একই সঙ্গে যে জায়গার বাজি ফাটানো হবে তার চারপাশের জানলা-দরজা বন্ধ রাখতে হবে৷ যাতে বিষাক্ত গ্যাসের ধোঁয়া বাড়ির মধ্যে ঢুকে না যায়৷
২) হৃদরোগ, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা রোগীরা বাজি থেকে দূরত্ব বজায় রাখবেন৷
৩) বাজি ফাটানোর জায়গার কাছাকাছি ধূমপান করা উচিত নয়৷ কারণ এতে বাজির গ্যাস আরও বিষাক্ত হয়ে ওঠে৷

বেশি জলপান:
শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷ যে কোনও ধরনের অ্যালার্জি রোগীর শরীরকে সবসময় ডিহাইড্রেট করে৷ তাই বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে৷ অ্যালার্জি হলে অথবা শ্বাসকষ্টে ভুক্তভোগী রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত৷

অসাবধানতায় কষ্ট:
১)
গ্রামের থেকে শহরের দূষণের মাত্রা বেশি হওয়ায় শহরের বাতাসে বাজির মধ্যে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার, কার্বন মনোঅক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস ও বাজির অ্যালুমিনিয়াম, লোহা, ক্যাডমিনিয়ামের মতো কণা মিশে দূষণের মাত্রা অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়৷ এর জন্য সুস্থ মানুষেরও শ্বাসকষ্ট হতে পারে৷
২) দূরত্ব বজায় না রেখে বাজির কাছাকাছি গেলে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি যেমন সর্দি, গলা ব্যথা, গলার সংক্রমণ, মাথা যন্ত্রণা, মুখ ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়৷
৩) হৃদরোগ, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, সিওপিডির মতো রোগে আক্রান্ত হলে বাজির বিষাক্ত গ্যাস থেকে অসুস্থ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে৷ কিছু ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়৷
৪) কোনও বাচ্চার অ্যাজমার সমস্যা থাকলে অনেকসময় বাজি-পটকার ধোঁয়া থেকে প্রবল অসু্থ হয়ে পড়তে দেখা যায়৷ এছাড়া সঠিক সতর্কতা অবলম্বন না করলে সেই ধোঁয়ার কারণে সুস্থ বাচ্চাদের শরীরেও প্রভাব পড়ে৷

আরও জানতে অ্যাপোলো গ্লেনিগলস হসপিটালের পালমোনলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরিকে ফোন করুন এই নম্বরে- 9836967500। বিশদে জানতে ক্লিক করুন epaper.sangbadpratidin.in

The post বাচ্চার হাতে বাজি? এই সতর্কতা নিতে ভুলবেন না! appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement