দুলাল দে: ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) প্রেসিডেন্ট পদে কে বসবেন, তা ঠিক হবে শুক্রবার। লড়াইটা বাইচুং ভুটিয়া এবং কল্যাণ চৌবের মধ্যে। দু’জনই প্রাক্তন ফুটবলার। দু’জনেরই কলকাতা যোগ রয়েছে। কিন্তু একজন নির্বাচনী লড়াইয়ে খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন, কারণ পরোক্ষে তাঁকে সাহায্য করছে কেন্দ্রের শাসকদল। আর বাইচুং (Bhaichung Bhutia) সেখানে অনেকটাই ঢাল-তলোয়ারহীন। কিন্তু পাহাড়ি বিছে হার মানার পাত্র নন। মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে এসে তিনি জানিয়ে গেলেন, তিনি চান ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন হোক, ফুটবল ফেডারেশনের মতো করে। এই নির্বাচনেও রাজনীতিবিদরা হস্তক্ষেপ করুন সেটা তিনি চান না।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বাইচুং বলেন,”রাজনীতির প্রভাব ফুটবলের জন্য ভাল হতে পারে না। গত ৬০-৭০ বছর ধরে ভারতীয় ফুটবল রাজনৈতিক প্রভাবের জন্য অনেক কিছু হারিয়েছে। কিন্তু আর সেটা যেন না হয়। ফিফার নির্বাসন, এবং সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পর একটা সুযোগ এসেছে নতুন করে সবকিছু শুরু করার। এই সুযোগটা কাজে লাগানো উচিত। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবহীন ভাবে এই নির্বাচন হওয়া উচিত।” প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সাফ বলে দিচ্ছেন, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত লোকেরা ফুটবল প্রশাসনে থাকলে রাজ্য সংস্থাগুলি চালাতে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়।
[আরও পড়ুন: ভারতের কাছে হার পাকিস্তানের, ব্যাটারদেরই কাঠগড়ায় তুলছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটাররা]
ফেডারেশনের নির্বাচনের আগে হাতে সময় খুব কম। স্বাভাবিকভাবেই মারাত্মক ব্যস্ত ভারতের ফুটবল আইকন। তার মধ্যেই সময় বের করে মঙ্গলবার বিকালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বারি এফসি-তে খেলে ফেরার পর ভারতীয় দলে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন (Stephen Constantine) ছিলেন তাঁর প্রথম কোচ। সেই স্টিফেন এখন ইস্টবেঙ্গলের কোচ। ডার্বি হারের পর কোচ এবং ফুটবলারদের মনোবল বাড়াতে ক্লাব তাঁবুতে যান লাল-হলুদের ঘরের ছেলে।
[আরও পড়ুন:গম্ভীরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য আফ্রিদির, শুনে হাসলেন হরভজন! নেটদুনিয়ায় চরম নিন্দা]
এদিন বেশ কিছুক্ষণ লাল-হলুদ তাঁবুতে ছিলেন বাইচুং। খতিয়ে দেখেন ক্লাবের নতুন আর্কাইভও। কোচ এবং ফুটবলারদের সঙ্গে কথাও বলেন। বাইচুং ব্যস্ততার জন্য ডার্বি দেখতে পারেননি। তবে শুনেছেন সামান্য অনুশীলনেই নামতে হয়েছিল তাঁদের। সেটাই আশা জোগাচ্ছে তাঁকে। বলে দিচ্ছেন, অনুশীলন করতে থাকলে এই ইস্টবেঙ্গল টিম ভাল খেলবে। বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান ফুটবলার আছেন দলে।