আকাশ মিশ্র: কিছু ছবি তৈরি হয় শুধুমাত্র বিনোদনের কথা মাথায় রেখে। কিছু ছবি তৈরি হয় শুধুমাত্র বক্স অফিসের লড়াইকে জিতে অর্থলাভ করার জন্য। আর কিছু ছবি যেন সমাজের ব্যধিগুলোকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর জন্যই তৈরি করেন। নেটফ্লিক্সে সদ্য় মুক্তি প্রাপ্ত ‘ভক্ষক’ ছবিটি, আসলে এই চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর ঘরানার। যা শুরু থেকেই মগজকে ধাক্কা দেয়। প্রথম ফ্রেম থেকেই ‘ভক্ষক’ বুঝিয়ে দেয়, এই ছবি মোটেই সহজ,সরল নয়। বরং এক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাকে তুলে ধরেছে।
‘ভক্ষক’ ছবির গল্প একটি শেল্টার হোমকে কেন্দ্র করে। যেখানে নাবালিকাদের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করা হয়। উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরপুরের একটি শেল্টার হোমের ঘটনাকেই এই ছবিতে তুলে ধরেছেন পরিচালক পুলকিত। তবে এক্ষেত্রে জায়গায় নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এক সাংবাদিকের চোখে পুরো ঘটনাটি তুলে ধরেছেন পরিচালক পুলকিত।
[আরও পড়ুন: ‘জগদ্ধাত্রী’, ‘ফুলকি’ না ‘নিমফুলের মধু’, এবার TRP তালিকায় কোন সিরিয়াল এগিয়ে?]
এই ছবির সবচেয়ে স্ট্রং পয়েন্টই হল চিত্রনাট্য। কিছুটা তথ্যচিত্র ও কিছুটা ফিকশনের মতো করে এগিয়েছে ‘ভক্ষক’। ছবিটা দেখতে দেখতে কখনই মনে হবে না, এই ঘটনা অতিরঞ্জিত। পুরো ছবি জুড়েই একটা থমথমে ভাব। যা কিনা গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো। আর এমনই এক পারফেক্ট চিত্রনাট্যের সঙ্গে সঠিক সঙ্গত করেছেন ভূমি পেড়নেকর। সাংবাদিকের চরিত্রে একেবারে সঠিক বাছাই ভূমি। তবে আলাদা করে নজর কাড়েন চিত্রসাংবাদিকের চরিত্রে সঞ্জয় মিশ্রা। ‘ভক্ষক’ ছবির একটাই দুবর্ল পয়েন্ট। কিছু জায়গা একটু বেশিই স্লথ।
পরিচালক পুলকিত মারণরোগ ক্যানসারে ভুগছেন। তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্নার সঙ্গে বসে পুলকিত এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন। ভক্ষক দেখে বোঝাই যায়, কোনও খামতি রাখেননি তিনি। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত এবং কষ্টকে যে একসঙ্গে করে সাজিয়ে দিয়েছেন পুলকিত। তাই হয়তো, ‘ভক্ষক’ সমাজের সামনে আয়না ধরে। তীব্র যন্ত্রণা দেয়।