রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ফের প্রকাশ্যে বঙ্গ বিজেপির দলীয় কোন্দল। এবার দলের বর্তমান নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন আইপিএস অফিসার তথা দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh)। গত ৩০ ডিসেম্বর বাংলার ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে’র উদ্বোধনে আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে বিজেপির বহু নেতাই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই মর্মে চিঠিও পাঠানো হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (JP Nadda) কাছে। এবার তা নিয়ে দলের অন্দরে বিস্ফোরণ ঘটালেন ভারতী ঘোষ। সাফ জানালেন, দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন দলে সমন্বয় নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু বর্তমান নেতৃত্ব ইচ্ছে করে কয়েকজন নেতাকে পিছনে সরিয়ে রাখছে। এটা অত্যন্ত অপমানজনক বলেও উল্লেখ করেছেনন ভারতী ঘোষ। বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) গ্রুপ থেকে নেত্রীর সেই বার্তা প্রকাশ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ৩০ তারিখ একযোগে হাওড়া স্টেশন থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণব, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী ভারচুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এমন এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক, সাংসদ আমন্ত্রণই পাননি বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। তা নিয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে জে পি নাড্ডা – সকলের কাছে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও দলের তরফে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে জানানো হয়, এত বড় অনুষ্ঠানে ছোটখাটো ভুল হতেই পারে।
[আরও পড়ুন: নেপালে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে কমপক্ষে ৫ ভারতীয়র মৃত্যুর আশঙ্কা, চলছে উদ্ধার কাজ]
কিন্তু তা নিয়েই এবার কার্যত বোমা ফাটালেন ভারতী ঘোষ। জানা গিয়েছে, সেই অনুষ্ঠানের প্রায় ১০-১২ দিন পর অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul) তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বার্তা করে দুঃখপ্রকাশ করেন। তার জবাব দিতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটান ভারতী। তিনি স্পষ্ট জানান, ”দিলীপ ঘোষ যখন রাজ্য সভাপতি ছিলেন, তখন দলের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ, সমন্বয় খুব নিয়ম মেনে হতো। কোথাও কিছু পেতে অসুবিধা হত না। কার্যকর্তাদের দিয়ে খুব শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করানো হতো। কিন্তু এখনকার নেতৃত্ব ইচ্ছে করে দু, একজনকে বাদ দেওয়া হচ্ছে কোনও কোনও অনুষ্ঠান থেকে। তাই তো বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের সময় আমার মতো ভিভিআইপি-ও আমন্ত্রণ পত্র পেলাম না। এতদিন পর আর সেসব নিয়ে কোনও কথা শুনতে চাই না।” সেই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা প্রকাশ্যে আসায় কার্যতই অস্বস্তিতে বঙ্গের গেরুয়া ব্রিগেড।