রমেন দাস: অবশেষে সংঘাত মিটল। উপাচার্য পেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। বৈদ্যুতিন দূরসংযোগ বিভাগের অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্তকে (Bhaskar Gupta JU) উপাচার্য পদে নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস।
ভাস্করবাবু ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন ছাত্র। দীর্ঘদিন ধরে বৈদ্যুতিন দূরসংযোগ বিভাগে পড়াচ্ছেন তিনি। পড়ুয়াদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় বলেও শোনা যায়। রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যানও ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক হিসেবেই পরিচিত তিনি। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছিলেন তিনি, সেই প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-কে ভাস্করবাবু বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেছি। রাজ্য সরকার আমার নাম পাঠিয়েছিল। মাননীয় আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপাল আমার নামে অনুমোদন দিয়েছেন। ভালো লাগছে। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়। এখানেই পড়েছি। এখানেই পড়াচ্ছি। সব মিলিয়ে এটাও আমার ঘর।"
বৈদ্যুতিন দূরসংযোগ বিভাগের অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্তকে উপাচার্য পদে নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল। নিজস্ব চিত্র।
[আরও পড়ুন: ভারতের বীরগাথা সিয়াচেন, ইঙ্গিতে পাকিস্তানকে সমঝে চলার হুঁশিয়ারি রাজনাথের]
প্রসঙ্গত, বিতর্ক পিছু ছাড়ে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। তাই, একাধিক চ্যালেঞ্জও রয়েছে নতুন উপাচার্যের সামনে। এ প্রসঙ্গে ভাস্করবাবু জানান, "আমার মনে হয় না চ্যালেঞ্জ হবে! একাধিক সমস্যা রয়েছে এটা সত্যি। কিন্তু যেহেতু আমার নিজের জায়গা, আমার সেই দিক থেকে তার সমাধান করতে সমস্যা হবে বলে মনে করি না।"
ইতিপূর্বে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বুদ্ধদেব সাউ (Budhhadeb Sau)। তিনিও বিতর্কে জড়িয়েছেন। নিজের পূর্বসূরি সম্পর্কে বৈদ্যুতিন দূরসংযোগ বিভাগের অধ্যাপক বলেন, "নিজের কাজের দিকেই নজর দেব। পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী সকলেই আমার চেনা। তাই, তাঁরা সবকিছুতেই আমাকে সাহায্য করবেন বলে আশা করছি।" তবে তিনি তো তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত! সেই তকমা নিয়ে দায়িত্ব সামলাতে কি অসুবিধা হবে? জবাবে ভাস্কর গুপ্তর সপাট জবাব, "আমার সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) যোগ নিয়ে কে বললেন, তাতে আমার কিছু আসে যায় না।"