সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিএবি (CAB) লিগ জয় কার্যত যে নিশ্চিত, সেই দেওয়াল লিখন আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ভবানীপুর ক্লাবের কাছে। এদিন বাইশ গজে ধরা পড়ল তার বাস্তব রূপ। প্রত্যাশামতোই লিগ চ্যাম্পিয়ন হল ভবানীপুর। মহামেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে ফাইনাল ম্যাচ ড্র করে তাদের মাথায় উঠল শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা। শুধু মহামেডান কেন, লিগে প্রদীপ্ত প্রামাণিকরা দর্পচূর্ণ করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানেরও।
ফাইনালে আগাগোড়া দাপট দেখাল ভবানীপুর। প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৪৭৯ রান ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে তারা। এরই মধ্যে বৃষ্টিতে ভেস্তে যায় তৃতীয় দিনের ম্যাচ। ফাইনালের প্রথম ইনিংসে ১৩৪ রান করেন অরিন্দম ঘোষ। ম্যাচের সেরাও তিনি। বোলিংয়ের সময়ও শুরু থেকেই ছিল ভবানীপুরের দাপট। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের দাপটের পর দুরন্ত বোলিং উপহার দিয়ে গেলেন ভবানীপুরের বোলাররা। প্রথম সেশনেই চারটে উইকেট তুলে নেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক-রবি কুমাররা। ম্যাচের ভাগ্য ওখানেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: জাভি যুগের অবসান, আট গোল দেওয়া কোচের হাতেই বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ]
ক্রিকেটারদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় ভবানীপুর ক্লাবের কর্তা সৃঞ্জয় বোসের।
শেষ পর্যন্ত তাদের প্রথম ইনিংসে মহামেডান অলআউট হয় ২০৯ রানে। দীপক কুমার দুরন্ত বোলিং করে গেলেন। ৪ উইকেট নেন তিনি। প্রদীপ্ত ৩ আর রবি কুমার ২ উইকেট নেন। আমির গোনি নিলেন ১ উইকেট। মহামেডানের হয়ে একমাত্র রবিকান্ত শুক্লা (৭৮) লড়াই করেন।
চতুর্থ দিনের শেষে মহামেডানের বিরুদ্ধে ফাইনালে ৩৮৫ রানের বিশাল লিড ছিল ভবানীপুরের। হাতে তখনও ছিল সাতটা উইকেট। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ভবানীপুর তোলে ৩৭৩ রান। অর্থাৎ পঞ্চম দিনের শেষে তাদের হাতে ছিল ৬৪৩ বিরাট রানের লিড। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে লিগ চ্যাম্পিয়ন হল ভবানীপুর ক্লাব।
ম্যাচ সেরার পুরষ্কার অরিন্দম ঘোষের হাতে তুলে দিচ্ছে সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।