shono
Advertisement

এবার রাফায় ঢুকে হামলার পরিকল্পনা ইজরায়েলের, উদ্বিগ্ন বাইডেনের ফোন নেতানিয়াহুকে

'মনোমালিন্য' ভুলে প্রায় এক মাস পরে নেতানিয়াহুকে ফোন করেছেন বাইডেন।
Posted: 04:13 PM Mar 19, 2024Updated: 04:13 PM Mar 19, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মহলের চাপ উড়িয়ে রাফায় ঢুকে পুরোদমে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। দক্ষিণ গাজার এই শহরই এখন প্যালেস্তিনীয়দের শেষ আশ্রয়। গত মাস দেড়েক ধরে সেখানেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি ফৌজ। প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ। যা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। এবার নেতানিয়াহুর এই ঘোষণার পর তড়িঘড়ি তাঁকে ফোন করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

Advertisement

হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েল (Israel) লড়াই শুরু করার পর থেকেই ইহুদি দেশটির পাশে রয়েছে আমেরিকা। কিন্তু গাজায় ইজরায়েলি সেনার অভিযানের পর থেকে জারি রয়েছে মৃত্যুমিছিল। সাধারণ মানুষের মৃত্যু নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে দুদেশের সম্পর্কে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে নেতানিয়াহু ও বাইডেনের বন্ধুত্বেও। ‘মনোমালিন্য’ বেড়েছে তাঁদের মধ্যে। গত মাসে নেতানিয়াহু নিজেই জানিয়েছিলেন দীর্ঘদিন ধরে তাঁর হয়নি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। কিন্তু রবিবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর রাফা নিয়ে ঘোষণার পরই সোমবার প্রায় এক মাস পর তাঁকে ফোন করেছেন বাইডেন। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের মধ্যে।  

এনিয়ে হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে গাজায় আরও বেশি করে মানবিক সহায়তা পাঠানো, যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি ও রাফায় (Rafah) ঢুকে অভিযান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাফা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি নেতানিয়াহুকে বলেছেন, “হামাস নির্বিচারে ইজরায়েলিদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে। ইজরায়েলের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে হামাসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর। কিন্তু রাফার সাধারণ মানুষদের কথাও ভাবতে হবে। আমাদের একটা বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। যার মাধ্যমে অভিযান না চালিয়েও রাফায় হামাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যায়। আমি চাই, ইজরায়েলি সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা ওয়াশিংটনে এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। আমরা একযোগে একটা পথ বের করতে পারি।”

জানা গিয়েছে, বাইডেনের এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন নেতানিয়াহু। চলতি সপ্তাহের শেষে কিংবা আগামী সপ্তাহের শুরুতে তিনি ইজরায়েলি সেনার আধিকারিকদের ওয়াশিংটনে পাঠাবেন। প্রসঙ্গত, মিশর সীমান্তবর্তী রাফা শহরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ত্রাণ সরবরাহকারী সংগঠনগুলো। ইজরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে এই শহরে আশ্রয় নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। কিন্তু এবার হামাস জঙ্গিদের নিঃশেষ করতে এখানেও আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। অনাহারে ভুগছেন মানুষ। বাড়ছে নানা রোগের প্রকোপ। রাফায় প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষের জীবন অনিশ্চিত। ফলে ইজয়ায়েল এবার যদি পুরোদমে রাফায় ঢুকে অভিযান শুরু করে তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement