সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার বুকে আতঙ্ক জাগিয়েছে এই হাতিয়ার। লড়াইয়ে শুরুর দিকে এর মদতেই ভলোদিমির জেলেনস্কির লিলিপুট বাহিনী রুখে দিয়েছিল বিরাট রুশ ট্যাঙ্ক ও বিমান বহরকে। চিনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে এবার সেই হাতিয়ারই তাইওয়ানকে দিচ্ছে আমেরিকা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ইউক্রেনকে ম্যান পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (ম্যানপ্যাড) দিতে চলেছে আমেরিকা। গত বছর কংগ্রেস প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে মার্কিন ফৌজের ভাণ্ডার থেকে ৩৪৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র তাইওয়ানকে দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি অত্যন্ত হালকা। যুদ্ধক্ষেত্রে কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমান বা ট্যাঙ্ক বাহিনীর যম হয়ে উঠতে পারে এই ম্যানপ্যাড। ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব দেখেছে কীভাবে রুশ হেলিকপ্টারগুলিকে ধ্বংস করছে ইউক্রেনীয় সেনার পোর্টেবল মিসাইল লঞ্চার। পুতিন বাহিনীক টি-৭২, টি-৯০ ট্যাঙ্কগুলিকে আগুনের গোলায় পরিণত করেছে আমেরিকার দেওয়া জ্যাভলিন মিসাইল।
[আরও পড়ুন: বেলারুশে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন রাশিয়ার! বিপর্যয় কি অনিবার্য?]
এবার এই ধরনের হাতিয়ারই তাইওয়ানকে দিতে চলেছে আমেরিকা। চিনকে (China) নজরে রেখে বাইডেনের ৪৫ মিলিয়ন ডলারের প্যাকেজে রয়েছে ম্যানপ্যাড-সহ একগুচ্ছ অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র ও নজরদারি উপকরণ। বলে রাখা ভাল, ২০২২ সালে আমেরিকার তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়েছে চিন। যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে বারবার প্রবেশ করছে লালফৌজের যুদ্ধবিমান। শুধু তাই নয়, স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকছে চিনা রণতরীও। পালটা, বেশ কয়েকটি ফাইটার জেট পাঠিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটির সেনাবাহিনী।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ‘তাইওয়ান পলিসি অ্যাক্ট’ আনে আমেরিকা। তাইপেইকে দ্রুত সামরিক সাহায্য দিতেই আনা হয় এই আইন। এর ফলে চার বছরে তাইওয়ানকে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার অস্ত্র দেবে মার্কিন প্রশাসন। উল্লেখ্য, রুশ-আমেরিকা যুদ্ধের জেরে জমি থেকে আকাশে আঘাত হানতে সক্ষম বিমান বিধ্বংসী মার্কিন স্টিংগার মিসাইলের জোগানে টান পড়েছে। এছাড়া, চলতি বছর তাইওয়ানকে ৬৬টি অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা ছিল আমেরিকার। কিন্তু সেই সময় প্রায় আরও একবছর পিছিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন।