সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনে (Ukraine) হামলা চালাতে বদ্ধপরিকর রাশিয়া। যুদ্ধের প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যে কোনও মুহূর্তে সীমান্ত পার করবে মস্কোর ফৌজ। এমনটাই মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিকে, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আণবিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, উভয় সংকটে নয়াদিল্লি]
শুক্রবার সংঘাতের আশঙ্কা উসকে শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে ইউক্রেনে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এবং আমাদের কাছে এমনটা মনে করার পর্যাপ্ত কারণ আছে।” তিনি আরও দাবি করেন, দ্রুত হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করার চেষ্টা করবে রুশ সেনাবাহিনী। ওয়াশিংটন ও ন্যাটো জোট মনে করছে ইউক্রেনে ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ অপারেশন শুরু করে হামলা কারণ তৈরি করবে মস্কো। ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ অপারেশনের অর্থ হচ্ছে ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দিয়ে যুদ্ধের মতো পরিস্থিত তৈরি করা বা গণহত্যার অভিযোগে রুশভাষী জনগণের রক্ষার নামে আগ্রাসন চালানো। বলে রাখা ভাল, ইউক্রেনের পূর্ব প্রান্তে ডোনেৎস্ক ও লুহান্স্ক প্রদেশ রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি বলে পরিচিত। মস্কোর প্রচ্ছন্ন মদতেই তারা ‘জঙ্গি কার্যকলাপ’ চালায় বলে দাবি প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির।
এদিকে, শুক্রবার থেকেই পরমাণু যুদ্ধের জন্য মহড়ার শুরু করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রাশিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, মস্কো যেন সরাসরি জানায় যে ইউক্রেনের উপরে রুশ বাহিনী হামলা চালাবে না। মস্কো সেই কথার জবাব দেয়নি। বরং এবার আরও আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ করেছে পুতিন প্রশাসন। পরিস্থিতি ঘোরাল করে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া সীমান্তে। দোনবাস অঞ্চলের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি করেছে, দফায় দফায় তাদের ঘাঁটির দিকে বোমাবর্ষণ করেছে ইউক্রেনের সেনা। রাশিয়ার সরকারও আজ ইউক্রেনে বাহিনীর দিকে লাগাতার বোমাবর্ষণের অভিযোগ তুলেছে। কিয়েভ অবশ্য অভিযোগ স্বীকার করেনি।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন-রাশিয়া টানাপোড়েনে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। যদিও বুধবার থেকে রুশ (Russia) সেনা প্রত্যাহারের খবর মেলার পর থেকে মিলেছে স্বস্তি। যদিও আমেরিকার দাবি, রাশিয়ার সেনা সরানোর দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। শেষ পর্যন্ত সত্যিই যুদ্ধ হবে কিনা তা এখনই পুরোপুরি পরিষ্কার না হলেও, ইউক্রেনের (Ukraine) দাবি, ‘হাইব্রিড ওয়ার’ ইতিমধ্য়েই শুরু করে দিয়েছেন পুতিনের দেশ।