সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি 'বৃদ্ধ হলেন'। গত কয়েকদিন মার্কিন মুলুকে জো বাইডেনকে নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সামনে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছিলেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, এমন শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় কেউ কি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে পারেন? এই পরিস্থিতিতে এবার জানা গেল, বাইডেন নাকি অত্যন্ত ক্লান্ত বোধ করছেন। ডেমোক্র্যাট গভর্নরদের সঙ্গে একটি বৈঠকে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আরও ঘুমোতে চান। ফলে কাজের সময়েও কাটছাঁট করবেন। বিশেষত রাত ৮টার পরে আর কোনও রকম কর্মসূচি রাখতে নারাজ বাইডেন।
যদিও বাইডেনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর গুঞ্জন উড়িয়ে দিচ্ছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কেরিন জিন-পিয়ের। তিনি দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট পদের লড়াই থেকে মোটেই নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন না ৮০ বছরের ডেমোক্র্যাট নেতা। তাঁর কথায়, ”প্রেসিডেন্ট একেবারে স্থিরচিত্ত। এবং উনি লড়াইয়ে থাকছেন।” নিয়মানুযায়ী, এখনও বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর সময় আছে। তিনি চাইলেই জানিয়ে দিতে পারেন, আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে দিতে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু জানা গিয়েছে, বাইডেন সরতে ইচ্ছুক নন।
[আরও পড়ুন: ‘আমি জঙ্গি নই’, জামিনের কাতর আর্জি কেজরির, সিবিআইকে নোটিস হাই কোর্টের]
সম্প্রতি হোয়াইট হাউস সূত্রেই শোনা গিয়েছে, শারীরিক ক্লান্তি, পাশাপাশি অন্যমনস্কতা ও স্মৃতিভ্রংশের সমস্যায় জেরবার বাইডেন (Joe Biden)। এহেন পরিস্থিতিতে বাইডেনের আরও ঘুমোতে চাওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেও ওয়াকিবহাল গত কয়েক মাসে কীভাবে বিভিন্ন সময়ে তাঁর অসংলগ্ন আচরণ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাই বিশ্রামের মধ্যে দিয়েই শারীরিক ও মানসিক ভাবে চাঙ্গা হতে চাইছেন বর্ষীয়ান ডেমোক্র্যাট নেতা। নর্থ ক্যারোলিনায় এক সভায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমি জানি, আমি তরুণ নই। আমি আর তেমন ভাবে হাঁটতে পারি না, যেমনটা পারতাম। কথাও তেমন ভাবে বলতে পারি না, যেমন বলতাম। আমি বিতর্কও আর আগের মতো পারি না। কিন্তু এটা আমি জানি, সত্যি কী করে বলতে হয়।”