সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে ইরানের বিরোধিতা করেছে আমেরিকা। এবার দুই দেশের সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরিষ্কার জানালেন, ‘ওই অঞ্চলে ইরানকে বিশেষ কেউ পছন্দ করে না।’ তাহলে কি পাকিস্তানের দিকেই ঝুঁকছে হোয়াইট হাউস?
রয়টার্স সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, “আপনারা বুঝতেই পারছেন ওই এলাকায় ইরানকে কেউ খুব একটা পছন্দ করে না। দুই দেশের এই সংঘর্ষ তারই প্রমাণ। আমরা এই বিষয়টি নজরে রাখছি। দেখা যাক কী করা যায়। তবে এই পরিস্থিতি আগামিদিনে কোন দিকে যাবে, তা বলা যাচ্ছে না।” একই সঙ্গে তিনি ইরান ও পাকিস্তানকে পারস্পরিক শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। দুই দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, “দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় আমরা সংঘাত দেখতে চাই না। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।”
[আরও পড়ুন: অযোধ্যার চেয়েও চারগুণ উঁচু, বিশ্বের উচ্চতম রামমন্দির তৈরি হচ্ছে বিদেশের মাটিতেই]
বলে রাখা ভালো, লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হাউথিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে আমেরিকা। আর এই হাউথিদের মদত দিচ্ছে ইরান। এই প্রেক্ষিতে পাকিস্তানে হামলার প্রসঙ্গে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানিয়েছিলেন, “একদিকে ইরান নিজেই সন্ত্রাসীদের মদতদাতা। অন্যদিকে আবার তারাই সন্ত্রাসবাদ দমনে পদক্ষেপ করছে।” বিশ্লেষকদের মতে, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে ইহুদি দেশটির পক্ষে রয়েছে আমেরিকা। কিন্তু হামাসকে সমর্থন জানিয়েছে ইরান। পাশাপাশি তেহরানের মদতে লোহিত সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে হাউথিরা। তাই ইরানকে মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না ওয়াশিংটন। ফলে আগামিদিনে যদি ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে তাহলে ইসলামাবাদকে শক্তি জোগাবে আমেরিকা সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার আগে পাকিস্তানের জেহাদি ডেরায় মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। পাকিস্তানের সবথেকে বড় প্রদেশ বালোচিস্তানে জেহাদি সংগঠন জইশ আল আদলের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ইরানের এলিট রেভোলিউশনারি গার্ড। এনিয়ে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, “পাকিস্তানের জমিতে শুধুমাত্র জঙ্গিঘাঁটিগুলোতে হামলা চালিয়েছি আমরা। সব দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে ইরান। তবে জাতীয় নিরাপত্তায় সঙ্গে কখনওই আপোস আমরা করব না।” বুধবার এই একই যুক্তি দেখিয়ে ইরানে বালোচ বিদ্রোহীদের উপর হামলা চালায় পাকিস্তান।