সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ানের (Taiwan) সামরিক ঘাঁটি ও সরঞ্জাম চিনের নিশানায় রয়েছে। এমনই গুঞ্জনের মধ্যে মার্কিন (US) হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনা। আর এই পরিস্থিতিতেই বৈঠকে বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) ও চিনা (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। বৃহস্পতিবারই ওই বৈঠক হওয়ার কথা।
আগামী সপ্তাহেই এশিয়া সফরে যাওয়ার কথা ন্যান্সির। আর সেই সফরেই তাইওয়ানেও যাবেন তিনি। ইতিমধ্যেই ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে তাইওয়ানে যাওয়ার জন্য। যদি শেষ পর্যন্ত সত্য়িই তিনি তাইওয়ান যান, তাহলে গত ২৫ বছরে তিনিই হবেন প্রথম হাউস স্পিকার যিনি সেই দেশের মাটিতে পা রাখবেন।
[আরও পড়ুন: ইডি’র তলবে সাড়া, নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে মানিক ভট্টাচার্য]
এই সম্ভাব্য সফর ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে। এমনিতেই চিন ও তাইওয়ানের মধ্যে প্রতিনিয়ত টেনশন। তার মধ্যেই আমেরিকার এই ‘নাক গলানো’ যে জিনপিং ভালভাবে নিচ্ছেন না তা বলাই বাহুল্য। এই অবস্থায় বৈঠকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কী কথা হয়, সেদিকে নিশ্চিত ভাবে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।
উল্লেখ্য, বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন। তবে বেজিংয়ের ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি। গত কয়েক মাসে তাইওয়ানের উপরে আগ্রাসনও বাড়িয়েছে বেজিং। মাস দুয়েক আগেই একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। সেখানে চিনা কমিউনিস্ট ও সেনা আধিকারিকদের একাংশকে রীতিমতো আলোচনা করতে শোনা গিয়েছে কী ভাবে গায়ের জোরে তাইওয়ান দখলের পরিকল্পনা করছে চিন। বিশ্লেষকদের ধারণা, ওই অডিও ক্লিপটি বিশ্বাসযোগ্য। তাইওয়ান দখল নিয়ে আলোচনাটি রেকর্ড করেছে চিনা ফৌজ। সেখান থেকেই কোনওভাবে তা লিক হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে লালফৌজের স্থাপনার পর এই প্রথম এহেন চাঞ্চল্যকর তথ্য লিক হয়েছে। এমতাবস্থায় বাড়ছে উত্তেজনা। এবার দেখার তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে মুখোমুখি কী কথা হয় বাইডেন-জিনপিংয়ের।