সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় সাত মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। শুরুর দিকে সফলতা পেলেও একের পর এর অভিযানে ধাক্কা খেয়েছে রুশ বাহিনী। প্রবল বিক্রমে পালটা আঘাত করছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। এহেন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে ‘ট্যাকটিকাল নিউক’ বা পরমাণু বোমার কৌশলী প্রয়োগ করতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলে আশঙ্কা। হামলা হলে আমেরিকার উত্তর কী হবে, প্রশ্ন করা হলে, হাড়হিম করা জবাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম CNN-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, “আমেরিকা তৈরি। ইউক্রেনে সমস্ত সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা ভেবে রাখা হয়েছে। আমাদের জবাবও তৈরি। এনিয়ে পেন্টাগনকে কিচ্ছু জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন নেই। ইউক্রেনে (Ukraine) পরমাণু হামলা হলে আমরা কী করব, না করব সেই বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা খুব অসমীচীন হবে।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আগামী মাসে ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ গোষ্ঠীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেখানে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তিনি। তবে বাইডেন স্পষ্ট জানান, মার্কিন বাস্কেটবল প্লেয়ার ব্রিটনি গ্রাইনারের বিষয়ে আলোচনা করলে তবেই আলোচনা হবে। উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে গ্রাইনারকে গ্রেপ্তার করে রাশিয়া। মাদক পাচারের অভিযোগে তাঁকে ৯ বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধবাজ, বর্ণবিদ্বেষী বাইডেনের দল’, তোপ দেগে দল ছাড়লেন প্রথম হিন্দু মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তুলসী]
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে মিডিয়া ব্যারন রুপার্ট মারডকের পুত্র জেমস মারডকের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাইডেন। সেখানে কথাপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইউক্রেনে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তিনি মোটেও মশকরা করছেন না।” আমেরিকা বনাম সোভিয়েত ইউনিয়নের ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বাইডেন আরও বলেন, “১৯৬২ সালে কেনেডি ও কিউবার মিসাইল সংকটের পর সেই অর্থে আমরা পরমাণু বিপর্যয়ের সম্ভাবনা তৈরি হতে দেখিনি। পরিস্থিতি যদি এভাবেই খারাপের দিকে এগোয় তাহলে কিউবার সংকটের পর ফের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা তৈরি হবে।”
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাশিয়ার (Russia) মূল ভূখণ্ড ও ক্রাইমিয়ার সংযোগকারী সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, হামলার নেপথ্যে রয়েছে ইউক্রেনের কমান্ডো বাহিনী। এটা রুশ ভূখণ্ডে সন্ত্রাসবাদী হামলা। এর প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে। তারপরই সোমবার সকালে মিসাইল হামলা শুরু করে রাশিয়া। রাজধানী কিভেই ৫টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ৮৫টি ধারাবাহিক মিসাইল হামলা হয়েছে বলে দাবি। ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ায় নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মারা গিয়েছেন ১১ জন। আহত অন্তত ৬৪ জন।