সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর এক সপ্তাহ পরেই বিহারে প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Election 2020)। তার আগে জনমত সমীক্ষায় শাসক এনডিএ’র (NDA) ক্ষমতায় ফেরার ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। এমনকী, এনডিএর ভোট ও আসন কমতে পারে। ১০ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে করা লোকনীতি-সিএসডিএস সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বিরোধী মহাজোটের (৩২%) চেয়ে ছয় শতাংশ ভোটে এগিয়ে এনডিএ (৩৮%)। তবে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার জেরে গতবারের তুলনায় তাদের ভোট পাঁচ শতাংশ কমতে পারে। অনেক সময় এই ধরনের সমীক্ষার ফল বাস্তবে মেলে না। তবুও নির্বাচনী রাজনীতিতে তা নিয়ে আগ্রহ ও কৌতূহল কম নেই।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২২। সমীক্ষা বলছে, এনডিএ ১৩৩-১৪৩ আসন পেতে পারে। মহাজোটের ঝুলিতে যেতে পারে ৮৮-৯৮টি আসন। ২-৬টি আসন পেলেও চিরাগ পাসোয়ানের লোকজনশক্তি পার্টি (LJP) ‘ভোট কাটুয়া’ হিসাবে কিছুটা প্রভাব ফেলবে। বহু আসনে তারা জেডিইউয়ের ক্ষতি করবে, সুবিধা হবে বিজেপির। আরও তাৎপর্যপূর্ণ, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) জনপ্রিয়তাও কমছে। গতবার ৮০ শতাংশ মানুষ নীতীশের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এবার সেই সংখ্যাটা ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। বরং তাঁর চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কেন্দ্রের কাজে সন্তুষ্ট ৬১% মানুষ। একই সঙ্গে জনপ্রিয়তা বাড়ছে বিরোধী জোটের মুখ তেজস্বী যাদবের। রাজ্যের ২৭ শতাংশ মানুষ তাঁকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন। কিন্তু নীতীশের সুবিধা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানবিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাচ্ছে। আর মধ্যবিত্ত ও মহিলা ভোটারদের মধ্যে তাঁর সমর্থন বেশি।
[আরও পড়ুন: জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই ৬টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এড়িয়ে গেলেন মোদি, তোপ কংগ্রেস নেতার]
মহাজোটের সবচেয়ে দুর্বল অংশ হল শরিক কংগ্রেস। তাদের ভোটব্যাংকে ধস আখেরে জোটের ক্ষতি করবে বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা। একই সঙ্গে বর্তমান বিধায়কদের পক্ষেও সমীক্ষার ফল মোটেও অনুকূল নয়। ভোটারদের কাছে মূল ইস্যু উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, মূল্যবৃদ্ধি। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে প্রচার বিশেষ কাজে আসছে না। এই সমীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, বহু মানুষ সমীক্ষকদের জানাতে চাননি, তাঁরা কোন শিবিরকে বেছে নিতে চান। সেই বড় অঙ্কের ভোট পরবর্তীকালে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে।