সংবাদ প্রতিবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের (Bihar) সরকারি কর্মীদের জন্য ফরমান জারি করল নীতীশ সরকার। এবার থেকে দ্বিতীয় বার বিয়ের (Marriage) আগে নিতে হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সম্মতি। না হলে পড়তে হবে বড় ফ্যাসাদে। এমনকী, অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করলে সেই কর্মীর মৃত্যুতে চাকরি মিলবে না দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী বা স্বামী ও সন্তানদের।
ঠিক কী জানানো হয়েছে নয়া নিয়মে? বিহার সরকারের তরফে নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মীকে নিজের ‘ম্যারিটাল স্টেটাস’ জানাতে হবে তাঁর সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে। এবং দ্বিতীয় বিয়ে করার সময় তাঁকে তাঁর দপ্তরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
[আরও পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গার পর মোদি সরকার ফেলতে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিস্তা! দাবি তদন্তকারীদের]
যদি কোনও সরকারি কর্মী ঠিক করেন তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করবেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে দু’টি ধাপ মেনে চলতে হবে। প্রথমত, আইনত বিচ্ছেদ নিতে হবে তাঁর স্ত্রী অথবা স্বামীর থেকে। তারপর পুরো বিষয়টি জানাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে। যদি তিনি তা না করেন এবং পরে ওই কর্মীর প্রথম পক্ষের স্ত্রী বা স্বামী আপত্তি জানান, তাহলে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন ওই কর্মী। শুধু তাই নয়, যদি কোনও কর্মী দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি না নিয়ে, তাহলে তিনি মারা গেলে তাঁর সম্পত্তির ভাগ পাবেন না তাঁর স্ত্রী বা স্বামী কিংবা সন্তানরা। সেক্ষেত্রে সরকার অগ্রাধিকার দেবে তাঁর প্রথমপক্ষের স্ত্রী বা স্বামী ও সন্তানদের।
রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত সরকারি দপ্তরকে এবিষয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ডিভিশনাল কমিশনার, জেলাশাসক, পুলিশ দপ্তর ও সমস্ত সরকারি দপ্তরকেই নির্দেশ পাঠিয়ে জানানো হয়েছে অবিলম্বে এই নিয়ম কার্যকর করতে।