সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্রী নিয়ে মন্তব্য করে আবারও বিতর্কে জড়ালেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখর। হিন্দু শাস্ত্র রামচরিতমানসকে পটাশিয়াম সায়ানাইডের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। আর তাতেই শুরু হয় বিতর্ক। যা নিয়ে নীতীশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
গত বুধবার হিন্দি দিবসের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে বিতর্ক উসকে দেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “যদি ৫৫ রকমের খাবারের ডিশ সাজিয়ে তার মধ্যে পটাশিয়াম সায়ানাইড মিশিয়ে দেন, তাহলে কি খাবেন? হিন্দু ধর্মেরও একই বক্তব্য। এই একই কারণে রামচরিতমানসের (Ramcharitmanas) বিরোধিতা করি। এবং সারাজীবন করব। এমনকী আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও এ নিয়ে মুখ খুলেছেন।” নিজের মন্তব্যের যুক্তির সমর্থনে বাবা নাগার্জুন, লোহিয়ার নামও টেনে আনেন। বলেন, তাঁরাও রামচরিত মানসের সমালোচনা করেছেন। এরপরই যোগ করেন, সমাজের জাতপাতের নোংরামি যতদিন না শেষ হবে, ততদিন এদেশে জাতি সংরক্ষণের প্রয়োজন হবে।
[আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাস দমন না হলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়’, ফের পাকিস্তানকে হুঙ্কার ভারতের]
শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য়ের পরই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। হিন্দুবিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। নীতীশ কুমার সরকারকে একহাত নিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মুখপাত্র নীরজ কুমার কটাক্ষ করে বলেন, “মন্ত্রী চন্দ্রশেখর প্রতিনিয়ত রামচরিতমানস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন। নীতীশ কুমার কি এসব শুনছেন না? সনাতন ধর্মকে অপমান করছেন তিনিও?” এখানেই শেষ নয়, নীরজের দাবি, এত সমস্যা হলে শিক্ষামন্ত্রীর উচিত নিজের ধর্ম পরিবর্তন করা।
এদিকে লোক জনশক্তি পার্টি প্রধান চিরাগ পাসওয়ানও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীকে বহিষ্কার করা উচিত বলে মত তাঁর। চিরাগের কথায়, এধরনের মন্তব্য করে যুবপ্রজন্মের মনে বিষ ঢেলে দিচ্ছেন চন্দ্রশেখর। উল্লেখ্য, এর আগে চন্দ্রশেখর দাবি করেছিলেন, রামচরিতমানস সমাজে হিংসা ছড়াচ্ছে। তাঁর সেই মন্তব্য নিয়েও তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক।