সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার বোর্ডের টপারদের নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আলোচনার অন্ত নেই। কেউ প্রধানমন্ত্রীর নাম বলতে পারে না, তো কেউ সহজ গুণ-ভাগে ভুল করে। বিহারের পরীক্ষাগুলিতে গণটোকাটুকির ছবিও একাধিকবার ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। এই ছবি এবার বদলাতে বদ্ধপরিকর বিহার সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ড। মাধ্যমিক পরীক্ষায় আগেই তাই স্কুল এবং ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হল।
[‘বাড়ি সামলাতে পারেন না, দেশ সামলাবেন কীভাবে’, পরোক্ষে মোদিকে তির গড়করির]
এর আগে একাধিকবার টোকাটুকি রুখতে উদ্যোগ নিয়েছে বিহার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কোনও না কোনওভাবে নকল করার উপায় খুঁজেই নেয় পড়ুয়ারা। আর সেকারণেই রুবি রায়ের মতো নিম্ন মেধার পড়ুয়ারা গোটা রাজ্যের মধ্যে সেরা হতে পারেন। এবার সেসব বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে বিহার বোর্ড। ছাত্রছাত্রীদের জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে আজব নির্দেশ, পরীক্ষার হলে কোনওভাবেই জুতো-মোজা পরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না। বাড়ি থেকে জুতো-মোজা পরে এলেও পরীক্ষার হলে প্রবেশ করার আগেই তা খুলে ফেলতে হবে। কিন্তু কেন এমন নির্দেশ? আসলে অনেক সময় দেখা যায় জুতোর শুকতলার তলায় কিংবা মোজার ভিতরে ঢুকিয়ে কাগজের টুকরোতে নকল করে নেয় পড়ুয়ারা। সেই পন্থা রুখতেই এই নির্দেশ। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে অন্তত দু’বার সার্চ করা হবে। জামাকাপড়ের কোথাও কোনও কাগজ লুকিয়ে রাখা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। পরীক্ষার হলে মোবাইল পুরোপুরি নিষিদ্ধ। পড়ুয়ারা তো বটেই, শিক্ষকরাও মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না।
[সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই-রাজ্য পুলিশ সংঘাত মামলা, পিছোল শুনানি]
বিহার মধ্যশিক্ষা পর্যদের চেয়ারম্যান আনন্দ কিশোর জানিয়েছেন, নকল রুখতে সমস্তরকম পদক্ষেপ করছে বিহার বোর্ড। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশ্নফাঁস রুখতে সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিহার বোর্ড মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ১০ টি সেটের প্রশ্নপত্র তৈরি করেছে। যা নজিরবিহীন। প্রতিটি সেটই আলাদা আলাদা। শেষ মুহূর্তে ঠিক করা হবে কোন প্রশ্নের সেটে পরীক্ষা হবে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে পরীক্ষা। চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।