নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বাংলায় এসে তারাপীঠের দর্শনে যাওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বিহারের (Bihar) এক পুণ্যার্থীর। ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা বলেই খবর। বুধবার ভোরবেলা মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের মল্লারপুর থানা এলাকার নাদোরা সেতুর কাছে।
জানা গিয়েছে, বিহারের ছাপড়া জেলার দরিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ওই চার যুবক। কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। প্রথমে কলকাতার কালীঘাটে (Kalighat) গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে দর্শন করে পুজো সারেন। এরপর তারাপীঠের (Tarapith) উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সাঁইথিয়া থেকে মল্লারপুর হয়ে তারাপীঠ যাচ্ছিল তাঁদের গাড়ি। মল্লারপুর থানায় ঢোকার কিছুটা আগে নাদোরা সেতুর কাছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায়। রাস্তার পাশের মাঠে গিয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন: ‘আমি কি পার্থ চ্যাটার্জি?’, প্রীতি ম্যাচে কর্মীরা মোটা অঙ্কের অনুদান চাওয়ায় বেফাঁস তৃণমূল বিধায়ক ]
ঘটনাস্থলেই সন্তোষ কুমার (২৬) নামে এক পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়। বাকি তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মধ্যে এক যুবকের আঘাত বেশ গুরুতর। বাকি দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। মৃতের নাম এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। তবে আহত এক যুবকের নাম রাহুল কুমার শর্মা। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানান।
মাথায় চোট লেগেছিল রাহুলের। সেই অবস্থাতেই তিনি জানান, গাড়ির সামনে একটি বাইক চলে এসেছিল। সেটিকে বাঁচাতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারায় তাঁদের গাড়ি। সোজা গিয়ে জেসিবিতে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই একজন প্রাণ হারান। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃত পুণ্যার্থীর দেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যাঁরা অল্প আহত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে দুর্ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। গাড়ির গতিবেগ কত ছিল, তা জানার চেষ্টাও করছে পুলিশ।