সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে জাতপাতের ভিত্তিতে সমীক্ষায় আর কোনও বাধা রইল না। ওই সমীক্ষায় সব স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দিল পাটনা হাই কোর্ট।
২০১১ সালের পর ২০২১ সালেই দেশের জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর (Coronavirus) জেরে সেই প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে। এবারের জনগণনার ক্ষেত্রে তফশিলি জাতি (SC) এবং তফশিলি উপজাতি (ST) বাদে অন্য কোনও ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী OBC-দের ক্ষেত্রেও আলাদা আলাদা জাতির উল্লেখ রাখা হবে না। শুধু ওবিসি বলেই উল্লেখ করা হবে।
[আরও পড়ুন: সবজির মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার আমজনতা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লির বাজারে রাহুল গান্ধী]
অনেকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও শুরু থেকে এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাঁর দাবি ছিল, এই সেনসাসে প্রতিটি জাতির আলাদা আলাদা উল্লেখ রাখতে হবে। তাতে সরকারি প্রকল্প সব জাতির কাছে সঠিক অনুপাতে পৌঁছে দেওয়া যাবে। কিন্তু কেন্দ্র নীতীশের সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নীতীশ নিজের রাজ্যে আলাদা করে জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন। গত জানুয়ারি মাসে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে এই জনগণনার প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের আবেদনের ভিত্তিতে জাতিগত জনগণনায় স্থগিতাদেশ দেয় পাটনা হাই কোর্ট।
[আরও পড়ুন: শুধু রাম মন্দিরে হবে না, ২৪-এর নির্বাচন জিততে উত্তরপ্রদেশের সাংসদদের বার্তা মোদির]
তার পালটা আবেদন করে বিহার সরকারও। জনগণনা প্রক্রিয়া স্থগিতাদেশ দিলেও, বিহার সরকারকে জাতপাতের ভিত্তিতে সমীক্ষা করার অনুমতি দিয়ে দিল পাটনা হাই কোর্ট। যা নীতীশ কুমার সরকারের জন্য বড়সড় স্বস্তির খবর। এই জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনাকে আগামী দিনে জাতীয় স্তরে ইস্যু হিসাবে তুলে ধরতে পারে INDIA জোট। বিরোধী জোটের নেতারা মনে করছেন, জাতিগত জনগণনা দেশজুড়ে বড়সড় ইস্যু হতে পারে। বিশেষ করে ওবিসিদের মধ্যে আলাদা আলাদা করে জাতির ভিত্তিতে সংরক্ষণের দাবি দীর্ঘদিনের।