সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মাস শেষ হতে চলল। দিওয়ালি (Diwali 2020) অতীত। হাতে রয়ে যাবে আর ভাইফোঁটা (Bhai Dooj)। তারপর আবার সেই নিউ নর্মালের জ্বালা। ফের সেই জীবন টিকিয়ে রাখার ইঁদুর দৌড়। আবার মন কেমনের পালা। সবই থাকবে। তার মাঝেও মনের ভিতরে হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছেটা নতুন করে জেগে উঠবে। তাকে অবশ্যই প্রশ্রয় দেবেন। প্রকৃতির নতুন ঠিকানার সন্ধানে বেরিয়ে পড়বেন। আপনার অপেক্ষাতেই রয়েছে সুন্দরী বিক্সথাং (Biksthang)।
পশ্চিম সিকিমে অবস্থিত পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট গ্রাম বিক্সথাং। গ্যাংটক (Gangtok) শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে। আধুনিকতার ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রকৃতির একান্ত আপন এই গ্রাম। লোকগান অনুযায়ী বিকস্থাং নামটি লেপচা শব্দ বিকমন থেকে নেওয়া হয়েছে। যার অর্থ এমন জায়গা যেখানে বাঘ গরুকে ভক্ষণ করেছিল। ভুটিয়াদের মতে আবার ‘বিক্সথাং’ শব্দের অর্থ সেই স্থান যেখানে বিশেষ পাথর পাওয়া যায়।
অবশ্য মানে বোঝার মাথার দিব্যি এখানে কেউ দেবে না। মনোমোহিনী ‘বিক্সথাং’-এর সৌন্দর্যে শুধু নিজেকে সঁপে দিন। ভালবাসার একটু ছোঁয়া পেলেই প্রকৃতির এই নতুন ঠিকানা সকলকে আপন করে নয়।
[আরও পড়ুন: শেষ হয়েও কেন হল শেষ না রাজকুমারের ‘ছলাং’-এর কাহিনি? পড়ুন ফিল্ম রিভিউ]
কী কী দেখার রয়েছে?
- সবুজে ঘেরা এই গ্রাম থেকে অবশ্যই দেখা যাবে সাদা বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
- একাধিক মনেস্ট্রি রয়েছে এখানে। দেখতে পাওয়া যাবে ডুবদি বা দুধি মনেস্ট্রি, সাং চোলিং মনেস্ট্রি, তাশিডিং মনেস্ট্রি, পেমায়াংস্তে মনেস্ট্রি। পাহাড়ের নির্জনতায় বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মন্ত্রোচারণ আপনাকে জীবনের অন্য স্তরে নিয়ে যাবে।
- এছাড়াও রয়েছে পয়জন পোখরি (লেক) । রয়েছে ফুরসাচো হট স্প্রিং (Phurchachu)। যা গ্যাংটকের চারটি পবিত্র গুহার কাছাকাছি অবস্থিত।
- হিমালয়ের পাখিদের দর্শন পাবেন। সারি সারি ওক-পাইন দেখতেও চলে যেতে পারেন।
- আবার চাইলে হর্স রাইডিংও করতে পারেন।
কীভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন?
শিলিগুড়ি থেকে সুমো পেয়ে যাবেন। চাইলে শেয়ারও নিয়ে নিতে পারেন। জোরথাংয়ে নেমে যাবেন। সেখান থেকে বিক্সথাং যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন। বিক্সথাংয়ে একটি হেরিটেজ ফার্মহাউস রয়েছে। ইন্টারনেট ঘাঁটলেই নম্বর পেয়ে যাবেন। রয়েছে হোম স্টে’র সুবিধাও।