সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাইক্রোসফ্ট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের পিছু যেন কিছুতেই ছাড়ছে না অতীতের জুজু। প্রায় দুই দশক আগে নিজের প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন এই ধনকুবের। তখন মেলিন্ডার সঙ্গে সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে গেটসের। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন। তার জেরেই সংস্থাটির বোর্ড থেকে সরে দাঁড়াতে হয় বিল গেটসকে। রবিবার ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে সামনে এসেছে এই খবর।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন নিয়ে এবার সম্মুখসমরে চিন-আমেরিকা! চড়ছে উত্তেজনার পারদ]
প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, প্রায় দু’দশক আগে কর্মীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়ালেও বিষয়টি মাইক্রোসফ্টের নজরে আসে ২০১৯ সালে। এক মহিলা ইঞ্জিনিয়ার সংস্থাকে চিঠি দিয়ে জানান যে বিলের সঙ্গে বহু বছরের শারীরিক সম্পর্ক ছিল তাঁর। তারপরই এই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বোর্ড। এমনকি নিরপেক্ষ বিচারে যাতে কোনওরকম সমঝোতা না হয়, তাই মামলাটির ভার দেওয়া হয় এমন একটি আইনি সংস্থাকে যারা মাইক্রোসফ্টের সঙ্গে যুক্ত নয়। কিন্তু এর কিছুদিন পরই বিল গেটস তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফলে মাঝপথে থমকে যায় তদন্তটিও। এদিকে, এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে, অনেকেই মনে করছেন অতীতের কিছু ‘অনৈতিক’ কাজের ফলেই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে ছেদ পড়েছে গেটসের।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন বিল গেটস (Bill Gates) এবং মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। তবে এক মার্কিন দৈনিকের দাবি, ২০১৯ সাল থেকেই সম্পর্কে ভাঙন ধরা শুরু করেছিল। কারণ ওই বছর অক্টোবরে মেলিন্ডাকে আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে। আসলে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিলের যোগাযোগকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি মেলিন্ডা। মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করেছে, জেফরি এপস্টেইনের বিরুদ্ধে শিশু, কিশোর পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এই শিশু কিশোরদের নাকি যৌন দাস হিসাবে ব্যবহার করা হত। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিচারাধীন অবস্থায় ২০১৯ সালের আগস্টে জেলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানা গিয়েছিল।