সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: কলকাতায় থেকেই পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকার কর্মীদের ডেকে নিয়ে সাংগঠনিক কাজ শুরু করে দিয়েছেন বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। বেশ কয়েকদিন ধরেই পাহাড়ের একাধিক নেতা-কর্মী গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখাও করে এসেছেন। এই পরিস্থিতিতে খুব শীঘ্রই বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরছেন বলে জানালেন সংগঠনের সহ-সভাপতি বিশাল ছেত্রী। শীঘ্রই শিলিগুড়িতে বাঘাযতীন পার্ক এলাকায় জনসভা করে নিজের ক্ষমতার পরিচয় দিয়ে তারপরই বিমল গুরুং পাহাড়ে পা রাখবেন বলে দাবি তাঁর। সরকারিভাবে শিলিগুড়িতে বিমল গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তনের খবরে শোরগোল পাহাড়ে।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিশাল ছেত্রী। সেখানে তিনি জানান, খুব শীঘ্রই পাহাড়ে ফিরতে চলেছেন বিমল গুরুং। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের সমর্থনে পাহাড়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাবেন তাঁরা, দাবি তাঁর। তৃণমূলের সঙ্গে তাদের কোনও বৈরিতা নেই বলেও এদিন দাবি করেন বিমলপন্থী মোর্চা সহ-সভাপতি। পাশাপাশি এদিন বিনয় তামাং, অনিত থাপাদের ‘ভেড়া’ বলেও কটাক্ষ করেন বিশাল। বলেন, “বিমল গুরুংয়ের নাম শুনেই বিনয়-অনিতরা ভয় পেয়ে গিয়েছেন। তাই অশান্তি ছড়াতে পারে বলে গুজব ছড়াচ্ছেন।” এ দিন বিজেপিকে বিশ্বাসঘাতক বলেও মন্তব্য করেন মোর্চা সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, “১৫ বছর ধরে আমরা বিজেপিকে সমর্থন করে আসছি। কিন্তু তাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। কোনও কথা রাখেনি।”
[আরও পড়ুন: ‘উপত্যকাও শান্ত, কিন্তু বাংলায় শান্তি নেই’, মমতাকে বিঁধতে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা টানলেন দিলীপ]
বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল বলেন, “বিমল গুরুং এবং তাঁর দল কেন বিজেপি ছাড়ল আমরা বলতে পারব না। তৃণমূল রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে বিমল গুরুংকে ব্যবহার করতে চাইছে। হয় বিমল গুরুং গোর্খাল্যান্ডের দাবি ছেড়ে দিয়েছেন অন্যথায় পৃথক রাজ্যের দাবিতে সমর্থন করছে তৃণমূল। যদিও বিশাল ছাত্রীর অভিযোগ নিয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয় পন্থীদের সভাপতি বিনয় তামাং কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “বিমল গুরুং আমার কাছে মৃত তাকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।” গত কয়েকদিন ধরেই কালিম্পং, মিরিক-সহ একাধিক এলাকার নেতারা কলকাতায় গিয়ে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। তারপরই সরকারিভাবে বিমলের আগমন বার্তা ঘোষণা করে চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছেন এলাকায়।