অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়: পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন মোড়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি পদ ও দল ত্যাগ করলেন বিনয় তামাং (Binay Tamang)। তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। তবে তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না বলেই জানিয়েছেন তামাং।
২০১৭ সালে পাহাড়ে তীব্র অশান্তির জেরে পালিয়ে যান মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁরই দলের দুই সদস্য বিনয় তামাং ও অনীত থাপা নতুন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা গঠন করেন। তারপর থেকেই পাহাড়ে মোর্চা দুই ভাগ হয়ে যায়। একটি বিনয়পন্থী মোর্চা ও আরেকটি বিমলপন্থী মোর্চা। আর পাহাড়ে তখন দুই মোর্চার ক্ষমতার লড়াই শুরু। সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনেও তারা দুই ভাগ হয়েই লড়াই করেন। তাতে বিনয়পন্থী মোর্চার একজন প্রার্থী জয়ী হয়ে বিধায়কও হন। এরপর থেকেই হঠাৎ অনীত থাপার সঙ্গে বিনয় তামাং এর দূরত্ব তৈরি হয়। কালিম্পংয়ে তাঁদের প্রার্থী জিততেই সমস্ত কৃতিত্ব নিয়ে নেন অনীত। এমনকি রাজ্য সরকারও এখন অনীত থাপাকেই ডাকেন পাহাড় নিয়ে আলোচনার জন্য। ভানুভক্তের জন্মদিনেও অনীত থাপাই উপস্থিত ছিলেন গৌতম দেবের সঙ্গে। এই ক্ষোভ নিয়েই অবশেষে বৃহস্পতিবার দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন বিনয় তামাং। এদিন দার্জিলিঙে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, “কিছুদিন ধরেই দলের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল। আমার মনে হচ্ছিল, গুরুত্ব হারাচ্ছি ক্রমশ। তবে দলের কারও প্রতি আমার কোনও রাগ, অভিমান নেই। আমি ২০১৯-এর লোকসভা ও ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে দলের পরাজয়ের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদ ও দল থেকে পদত্যাগ করলাম। আশা করি বিমল গুরুং আমাকে ভুল বুঝবেন না। ২০০৭ সাল থেকে আমি তাঁর সঙ্গেই মোর্চা করেছি।”
[আরও পড়ুন: টানা জেরায় দোষ স্বীকার, মঙ্গলকোটে TMC নেতা খুনে অবশেষে পুলিশের জালে ২ অভিযুক্ত]
বিনয় তামাংয়ের ইস্তফা সম্পর্কে অনীত থাপা (Anit Thapa) বলেন, “ওনাকে আমি বরাবর সম্মান করি, ভবিষ্যতেও তাঁর প্রতি আমার সম্মান একই থাকবে। বিমল গুরুংয়ের আমলে আমি তাঁর সঙ্গে রাজনীতি করেছি। ওনার যে স্বপ্ন ছিল নতুন পাহাড় গড়ার, তা আমরা সফল করব। ইস্তফার বিষয়ে কিছুই জানা ছিল না। আমি সাংবাদিক সম্মেলন দেখে জানতে পেরেছি। তবে দলের কর্মীদের বলব মনোবল ভাঙতে না। আমরা শুক্রবারই কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডেকেছি। সেখানেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। “