সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্রোতের বিপরীতে হাঁটতে চেয়েছিলেন তিনি৷ তাই সমস্ত চোখরাঙানিকে অবজ্ঞা করে চলে গিয়েছিলেন শবরীমালায়৷ ভোরের আলো ফুটে লোকমুখে চাউড় হওয়ার আগে আয়াপ্পার কাছে পুজো দিয়ে ফেলেছিলেন বিন্দু৷ এটাই ছিল কেরালার ওই সাহসিনীর ‘অপরাধ’৷ তার জেরে প্রায় একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন তিনি৷ সেসব কাটিয়ে এখন কাজের জগতে যোগ দিয়েছেন ঠিকই৷ তবে এখনও সমাজের চোখরাঙানি সহ্য করতে হচ্ছে পেশায় শিক্ষিকা বিন্দুকে৷
[ আরও পড়ুন: রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’, তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি]
কোঝিকোড়ের বাসিন্দা বিন্দু থাঙ্কাম কল্যাণী কেরালার এক স্কুলের শিক্ষিকা৷ পাট্টামির সংস্কৃত কলেজে ভোটের ডিউটি পড়েছে তাঁর৷ মঙ্গলবার এই কাজে গিয়েও চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার হলেন বিন্দু৷ অন্তত তাঁর অভিযোগ এমনই৷ আর পাঁচজনের মতো বেশ কয়েকজন ভোট দিতে এসে বিন্দুকে দেখতে পান৷ তিনিই প্রথা ভেঙে শবরীমালায় প্রবেশ করা বিন্দু কিনা তিনি, তাও ওই যুবকরা জিজ্ঞাসা করেন৷
ভোট শেষের পর কাজ সেরে বেরিয়ে বুথের বাইরে ওই যুবকদের দেখতে পান বিন্দু৷ অভিযোগ, বুথের বাইরে ওই যুবকেরা রীতিমতো হুমকি দেয় তাঁকে৷ এমনকী ওই যুবকেরা তাঁর মৃত্যু কামনা করে বলেও অভিযোগ৷ এদের প্রত্যেকেই বিজেপির সঙ্গে জড়িত বলেই দাবি সাহসিনীর৷ আচমকা এমন আক্রমণে ভয় পেয়ে যান ওই মহিলা৷ প্রাণে বাঁচতে দৌড়ে আবার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে চলে যান বিন্দু৷ অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি৷ সেদিনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিন্দু৷ নির্বাচনী আধিকারিকের উপর হামলা গণতন্ত্র এবং সংবিধানের উপর আক্রমণের সমান বলেই দাবি করেন শবরীমালায় পা রাখা সাহসিনী৷
[ আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, বারাণসীতে মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী ঘোষণা কংগ্রেসের]
শবরীমালায় ঢোকার পর থেকেই কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হয়েছে বিন্দুকে৷ দাঁতে দাঁত চেপে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন তিনি৷ এই ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই মহিলা৷ ভেঙে পড়েছেন তিনি৷ এই ঘটনা বড় কোনও অশান্তির অশনি সংকেত বলেই মনে করছেন সাহসিনী স্কুলশিক্ষিকা৷ সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়ের পর শবরীমালায় প্রবেশের নিয়ম বদলেছে৷ কিন্তু সমাজ বদলাল কই, এই ঘটনায় মাথাচাড়া দিচ্ছে প্রশ্ন৷
The post প্রথা ভেঙে শরবীমালায় প্রবেশের রেশ কাটেনি, ভোটের কাজেও হেনস্তার মুখে বিন্দু appeared first on Sangbad Pratidin.