নন্দন দত্ত, সিউড়ি: পরিযায়ী শ্রমিককে মুম্বইতে মারধর। ওই যুবকের মাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ। মহিলা শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগে গ্রেপ্তারির মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেলেন বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল কর্মী বুলেট মির্জা। শুক্রবার রাতে মল্লারপুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাকে।
বুলেট মির্জা, এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। তিনি এলাকার শ্রমিকদের ভিনরাজ্যে কাজের সুযোগও করে দেন। সম্প্রতি যমুনী গ্রামের বাসিন্দা এক মহিলার ছেলেকে মুম্বইতে শ্রমিকের কাজের বন্দোবস্ত করে দেন। বুলেট দাবি করে, নইমুদ্দিন নামে ওই যুবক তাঁর থেকে প্রায় এক লক্ষ টাকা ধার করেন। টাকা না পাওয়ায় মুম্বইতে কাজে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র।
[আরও পড়ুন: অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন এলাকা, মালদহে ভুক্তভোগীদের বিক্ষোভের মুখে বিজেপি সাংসদ]
ওই যুবকের মায়ের দাবি, শুক্রবার রাতে বুলেট নইমুদ্দিনের বাড়িতে আসে। নইমুদ্দিনকে না পেয়ে তাঁর মাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মল্লারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। শ্লীলতাহানির অভিযোগে বুলেটকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার রামপুরহাট আদালতে তোলা হয় তাকে। ওই তৃণমূল নেতার আইনজীবী এদিন আদালতে দাবি করেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী থানায় কোনও মহিলা শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করতে গেলে মহিলা পুলিশকর্মীরই তা নেওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে মল্লারপুর থানায় কোনও মহিলা পুলিশকর্মী ছিলেন না। সেক্ষেত্রে এই মামলার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। আর এই যুক্তিতেই বিচারক আলফাজ ফিরদৌস বুলেটকে জামিনে মুক্তি দেন। তবে আইনজীবীর যুক্তি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। থানায় অভিযোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য কেনও সুবিচার পাবেন না নির্যাতিতা, সে প্রশ্ন উঠছে।