সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধুনিক হচ্ছে দুনিয়া। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটছে মানুষও। পরিবেশবিদরা আগেই সাবধান করেছিলেন। আধুনিকতার মোড়কে আসলে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সভ্যতা। আর সেই ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়ে উঠল নেদারল্যান্ডে। পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু হওয়ায় মড়ক লাগল ডাচ স্টেশন সংলগ্ন একটি পার্কে। হাইরেডিয়েশন তরঙ্গের প্রভাবে গাছ থেকে পড়ে ছটফট করতে করতে মৃত্যু হল ৩০০ পাখির।
[‘Google Map’ দেখে গাড়ি চালাতে গিয়ে এ কী হাল হল ৩ যুবকের!]
প্রথমে পক্ষীকূলের এই ভয়াবহ বিপদ কারও নজরে পড়েনি৷ কিন্তু মৃত পাখির সংখ্যা ৩০০-র গণ্ডি ছুঁতেই শোরগোল পড়ে যায়। শুরু হয় তদন্ত। মনে করা হচ্ছে, পরীক্ষামূলকভাবে ডাচ রেল স্টেশনে ৫জি পরিষেবা চালু হতেই এই ঘটনা ঘটেছে। হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হতেই অসুস্থ হয়ে গাছ থেকে মাটিতে পড়তে শুরু করে পক্ষীকূল৷ আর তারপর ! ছটফট করতে করতে মারা যায় একাধিক প্রজাতির পাখি। জানা গিয়েছে, স্থানীয় জলাশয়ে হাঁসের আচরণেও পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন পরিবেশবিদরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাই-রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে আচরণ বদলে গেছে পক্ষীকূলের৷ হাঁসগুলো এই রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে বারবার জলের মধ্যে মাথা ডুবিয়ে দিচ্ছে৷ শুধু তাই নয়। প্রাণে বাঁচতে কিছু হাঁস এলাকা ছেড়ে পালিয়েওছে।
[জানুয়ারিতেই বাজারে আসছে শাওমির ৪৮ মেগাপিক্সলের ক্যামেরা ফোন]
ঠিক কী কারণে ৩০০ পাখির মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে শুরু হয়ে গিয়েছে তদন্ত৷ মৃত পাখিদের দেহ পরীক্ষা করছে ‘ডাচ ফুড অ্যান্ড কনজুমার প্রোডাক্ট সেফটি অথরিটি’। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাখির শরীরে কোনওরকম বিষ পাওয়া যায়নি। তবে, তাদের দেহে প্রচুর অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের প্রমাণ মিলেছে। অনেকের দাবি, রেলস্টেশনের ওই পরিষেবার তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছিল ৭.৪০ গিগাহার্ৎজ। যা কিনা পাখি বা অন্যান্য পশুর পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের দাবি, ফাইভ–জি পরিষেবার তরঙ্গদৈর্ঘ্য একটি স্টার্লিং পাখির আকারের সমান। তাই নেদারল্যান্ডের পক্ষীকূলের এই করুণ পরিণতি। যে পার্কে পাখিগুলির মৃত্যু হয়েছে, সেই এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। পুলিশ এই এলাকার উপক কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ভুল করেও কোনও পশু বা পাখি যাতে ওই পার্কে ঢুকে না পড়ে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
The post ৫জি পরিষেবা শুরু হতেই নামল মড়ক, প্রাণ কাড়ল ৩০০ পাখির appeared first on Sangbad Pratidin.