shono
Advertisement
EC notices

মীমাংসা হল না বিভাজনমূলক মন্তব্যের, মোদি-রাহুলকে নিয়ে জবাব দিতে সময় চাইল দুই দল

২৯ এপ্রিলের মধ্যে জবাব দেওয়ার কথা ছিল বিজেপি ও কংগ্রেসের।
Posted: 12:29 PM Apr 30, 2024Updated: 02:14 PM Apr 30, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিভাজনমূলক মন্তব্যের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল। মোদির মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে নোটিস পাঠায় কমিশন। আজ বিজেপি এর উত্তর দিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আরও এক সপ্তাহ সময় চাইল। মঙ্গলবারের মধ্যে এই বিষয়ে জবাবদিহি চেয়েছিল কমিশন। অন্যদিকে কংগ্রেসও (Congress) রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতে আরও ১৪ দিন সময় চেয়েছে।

Advertisement

গত রবিবার রাজস্থানের একটি সভায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “সরকারে থাকাকালীন কংগ্রেস (Congress) বলেছিল দেশের সম্পদের উপর মুসলিমদের অধিকার সকলের আগে। অর্থাৎ দেশের সম্পদ বন্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের পরিবারে বেশি সন্তান রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে দেশের সম্পদ। কংগ্রেসের ইস্তেহারেই বলা হয়েছে, মা-বোনদের সোনার গয়নার হিসেব করে সেই সম্পদ বিতরণ করা হবে। মনমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেই দিয়েছে, দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই। আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না।”

 

[আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের জেরে উপত্যকায় ভূমিধস, বিপর্যস্ত জনজীবন]

রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির করা ওই মন্তব্যকে এক বাক্যে ঘৃণাভাষণ আখ্যা দিয়ে তার নিন্দায় সরব হন বিরোধী নেতারা। মোদির বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ করেছিল সিপিআইএম(এল), কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দল। এমনকী, ১৭ হাজার ৪০০ আমনাগরিকও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণ দেওয়ার অভিযোগ তুলে কমিশনে চিঠি দিয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বিজেপিকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ২৯ এপ্রিলের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মোদি হিন্দু ও শিখ ধর্মকে ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন— এই অভিযোগ এনে দিল্লি হাই কোর্টেও মামলা হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মামলাও খারিজ হয়েছে।

 

[আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী গাড়ির উপর উলটে পড়ল বালির ট্রাক, মৃত ৬]

অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর একাধিক ভাষণ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ করে, রাহুল ভোটের জন্য উত্তর ভারত-দক্ষিণ ভারত বিভাজন করেছেন। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগের ভিত্তিতে নোটিস পাঠানো হয়েছিল কংগ্রেসকেও। ২৯ এপ্রিলের মধ্যেই সেই জবাব দেওয়ার কথা ছিল। যদিও জবাব দিতে আরও ১৪ দিন সময় চেয়েছে বিরোধী দল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির করা ওই মন্তব্যকে এক বাক্যে ঘৃণাভাষণ আখ্যা দিয়ে তার নিন্দায় সরব হন বিরোধী নেতারা।
  • রাহুল গান্ধীর একাধিক ভাষণ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিজেপি।
Advertisement