রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। নজিরবিহীনভাবে তার আগেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতৃত্ব। নন্দীগ্রাম-১ (Nandigram)ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কর্মী সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে নামের তালিকা ঘোষণা করা হল। হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ টি আসনের মধ্যে ১৪টিতেই প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। বিশেষত শাসকদল তৃণমূলের (TMC) তরফে এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি আসন। তার মধ্যে ১৪ টিতেই বিজেপির (BJP) প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে রবিবার। দেখা গিয়েছে, সেই তালিকায় প্রায় সকলেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ। এদিন হরিপুর এলাকায় আয়োজিত দলের কর্মিসভায় উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর উপস্থিতিতেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘বিজলি, বিজলি’, গানে নেচে ডান্স ফ্লোর মাতালেন ‘সোনার ছেলে’ নীরজ, ভিডিও দেখে মুগ্ধ ভক্তরা]
প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত বিজেপি প্রার্থীরা। একজনের বক্তব্য, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশ্চিহ্ন করে তবেই আমাদের শান্তি।” এ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের প্রতিক্রিয়া, ”এসব নাটক ছাড়া কিছুই নয়। পঞ্চায়েতে সব আসনে প্রার্থীই দিতে পারবে না ওরা। তাই নন্দীগ্রামের এই জায়গায় আগাম প্রার্থী ঘোষণা করে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকছে। যতই এসব করুক ওরা, ভোটে জিতবে তৃণমূলই।”যদিও এ বিষয়ে শুভেন্দুর পাশেই দাঁড়িয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ”পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আমরা বহু আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। জেলায় জেলায় ব্লকস্তরে তার প্রস্তুতি চলছে। এটাও তারই একটা অংশ।” আসলে নন্দীগ্রাম শুভেন্দুর রাজনৈতিক গড়। একুশের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্র থেকে জিতেই তিনি বিরোধী দলনেতা হয়েছেন।