রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দল ভাঙানো বা কোনও চমক আর নয়। দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদেরই সামনের সারিতে রেখে এগোতে চায় বঙ্গ বিজেপি (BJP)। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের (2024 Lok Sabha Election) কথা মাথায় রেখে দলের নিজস্ব শক্তির উপরই ভরসা রেখে এগোতে চায় গেরুয়া শিবির। ঠিক যেমনটি ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সময় হয়েছিল। এমনটাই খবর বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP) সূত্রে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে চরম ধাক্কা খাওয়ার পর ‘দলবদলু’ ইস্যুতে আপাতত নিজেদের অবস্থান সম্পূ্র্ণ পাল্টে ফেলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোনও বাছবিচার না করে তৃণমূল ও অন্যান্য দল থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়েছিল বিজেপি। তাঁদের অনেককেই বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছিল। যাঁদের অধিকাংশই পরাজিত হয়েছেন। বিজেপির পুরনো নেতা-কর্মীরা এসব ভালভাবে নেননি। আর সেটাই বুমেরাং হয়েছে। দলের পুরনো কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। পার্টির মধ্যে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে ওঠে। যার প্রভাব পড়ে নির্বাচনে। তবে অন্য দল থেকে আসা অনেক নেতা-কর্মী এখনও বিজেপিতে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ফের চোরাশিকারিদের নজরে জলদাপাড়া? জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য]
হেভিওয়েটরা বাদ দিলে সেই সব সাধারণ নেতা-কর্মীদের আগামীদিনে গেরুয়া শিবিরে ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, সাধারণ যে সব কর্মী বিধানসভা ভোটের আগে এসেছিলেন অন্য দল থেকে। এখনও বিজেপিতে রয়েছেন, তাঁদের দলের কাজেই লাগানো হবে। তবে এখনই গুরুত্বপূ্র্ণ পদ কাউকে দেওয়া হবে না। তাঁদের গুরুত্বহীন করে রাখা হবে। তাঁরা দলে কেমন কাজ করছেন তা দেখে ভবিষ্যতে গুরুদায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হবে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, অন্য দল থেকে কি আর কেউ বিজেপিতে আসতে চাইলে তাঁদের নেওয়া হবে না? রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষনেতার কথায়, সেক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে যাঁদের, তাঁদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সবার জন্য দরজা খুলে রাখার পথে আর হাঁটা হবে না।
এদিকে দলের একাধিক সাংগঠনিক জেলায় সংগঠনে রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। পুজোর আগেই সেই রদবদল হয়ে যাওয়ার কথা। এখন দেখার, জেলা কমিটিগুলিতে পুরনো নেতাদের পাশাপাশি দলে আসা নতুনদের কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের একাধিক সাংগঠনিক জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও উদ্বিগ্ন বিজেপির শীর্ষনেতারা।