সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেনের বিজেপি যোগের জল্পনায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে ঝাড়খণ্ড রাজনীতিতে। এরই মাঝেই এবার বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির নেতারা ভয়ংকর পর্যায়ে ষড়যন্ত্রকারী। এরা শুধু সমাজ নয়, ঘর, পরিবার এমনকী দল ভাঙার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে সর্বদা।
রবিবার গোড্ডাতে এই প্রকল্পের শিলান্যাসে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সেখানে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ''২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ডে আমাদের দলের সরকার গঠন হয়েছে। তখন থেকে এখনও পর্যন্ত লাগাতার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে চলেছে বিজেপি। করোনা কালে আমাদের সরকারের ৩ জন মন্ত্রী মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে নিজেদের বলিদান দিয়েছে। সাম্প্রতি সময়ে যা চলতে তাতে কোনওভাবেই আমরা ভেঙে পড়ব না। আসন্ন নির্বাচনে এই রাজ্য থেকে বিজেপিকে সাফ করে দেব আমরা।"
[আরও পড়ুন: ‘জেলে ঢোকান কিন্তু বউয়ের কাছে যাব না’, স্ত্রীর আতঙ্কে পুলিশের কাছে আরজি ‘নির্যাতিত’ স্বামীর]
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, "এদের তো কাজই হল বিধায়ক কেনা। কখনও এদের মনে হচ্ছে এই বিধায়ককে কিনে নিই, তো কখনও ওই বিধায়ককে। টাকাও এমন এক জিনিস যে, নেতা-বিধায়ককে কিনে ফেলতে এদের বিন্দুমাত্র সময় লাগে না।" এছাড়াও তাঁর অভিযোগ, "বিজেপি গুজরাট অসম মহারাষ্ট্র থেকে নেতাদের ঝাড়খণ্ডে ডেকে নিয়ে আসছে। এবং সেই নেতারা এখানে এসে আদিবাসী, দলিত, সংখ্যালঘুদের নিজেদের মধ্যে লড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে আমরাও মুখের মতো জবাব দেব। একেবারে ঝাড়পোছ করে ওদের আবার গুজরাটে ফেরত পাঠাব।"
[আরও পড়ুন: ‘সব মরবে’, হুমকি ইমেলের জেরে রাজস্থানের শতাধিক হাসপাতালে বোমাতঙ্ক]
উল্লেখ্য, চলতি বছরে ঝাড়খণ্ডে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই এখানকার সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের বিজেপি যোগের জল্পনা চরম আকার নিয়েছে। সূত্রের খবর, দলের ৬ বিধায়ককে নিয়ে দিল্লিতে পৌঁছেছেন ঝাড়খণ্ডের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নাকি কলকাতায় এসে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখাও করেছেন। তার পরেই রবিবার ভোরের বিমান ধরে পৌঁছে গিয়েছেন দিল্লিতে। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন চম্পাই। এহেন জল্পনার মাঝেই এবার বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের।