সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: সাংসদ, বিজোপির কেন্দ্রীয় কমিটির-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নিজের বুথেই প্রার্থী দিতে পারল না বিজেপি। নিজের গ্রাম এবং সেই বুথে বিজেপি কোনও প্রার্থী খুঁজে না পাওয়ায় মুখ পুড়েছে দলের। আর এই নিয়ে শাসকদল কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি। মানুষ যে বিজেপির সঙ্গে নেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেই দাবি শাসকদলের।
গোপীবল্লভপুর দুই ব্লকের কুলিয়ানা গ্রামপঞ্চায়েতের মোট আসন ১৩ টি। এর মধ্যে কুলিয়ানা সংসদে রয়েছে দুটি বুথ। কুলিয়ানার বুথ নম্বর ২৫ হল বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের বুথ। কেন এই বুথে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারল না তা নিয়ে জেলা নেতৃত্ব মুখ খোলেনি। যদিও এই নিয়ে ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ দলের সাংগঠনিক দূর্বলতাকে দায়ী করেছেন। তিনি পরিষ্কার বলেছেন, "জেলার সংগঠনের দায়িত্বে যারা আছেন তাঁরা বলেছিল সব জায়গায় প্রার্থী বাছাই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওখানে তথা দিলীপবাবুর বুথে যে প্রার্থী দেওয়া যায়নি সেই বিষয় নিয়ে দলের কেউ আমাকে কিছু বলেনি। এটা পুরোটাই দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা।"
[আরও পড়ুন: নির্দল কুড়মি প্রার্থীর হাত-পা কেটে নেওয়ার হুমকি! পুরুলিয়ার ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূল]
অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি তুফান মাহাতোকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। জেলা বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে রাজ্য কমিটির সদস্য অবনী ঘোষ বলেন, "বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।" বিজেপি সাংসদের নিজের বুথে প্রার্থী দিতে না পারার বিষয়টি সামনে আসতেই বেশিরভাগ বিজেপি নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
উল্লেখ্য, কুলিয়ানা বুথে মোট আসন ১৩ টি। এখানে বিজেপি ১২ টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। ২০১৩ সালে এই কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল তৃণমূলের দখলে। তখন বিরোধী বলতে ছিল সিপিএম। ২০১৮ সালে ১০ আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। ৮ সদস্য বিজেপির,একটি তৃণমূল ও একটি নির্দল ছিল। বোর্ড গঠন করেছিল বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাংসদের নিজের গ্রামের বুথে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারল না তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়ে গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি টিঙ্কু পাল বলেন, "দিলীপ ঘোষের নিজের বুথেই বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি। এর থেকে তো স্পষ্ট বোঝা যায় মানুষ বিজেপিকে বিশ্বাস করে না। "