সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধে সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির ছবি। গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীদের 'অতিসক্রিয়তা'য় জেলায় জেলায় সংঘর্ষ, অশান্তি। কলকাতারও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবরোধে সচেষ্ট বিজেপি কর্মীরা। পুলিশও অবশ্য সমান তৎপরতায় বন্ধ ব্যর্থ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। আর তাই অশান্তিতে উসকানি দেওয়া, জোর করে দোকান বন্ধ করানোর মতো গুরুতর অভিযোগে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হল বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষকে। তবে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে। প্রমীলা বাহিনী ঘিরে ছিল তাঁকে। শেষমেশ তাঁদের সরিয়ে দিয়ে পুলিশ বিজেপি কাউন্সিলরকে ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। কেন এভাবে আটক করা হল? প্রশ্ন তুলে নতুন করে প্রতিবাদে বিজেপি।
সজল ঘোষের বাড়ি ঘিরে মহিলােদর ভিড়। ছবি: সায়ন্তন ঘোষ।
বুধবার সকালে ধর্মঘটের চিত্র দেখতে লেবুতলা পার্কে গিয়েছিলেন সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের বেশ কয়েকজন কর্মী। খোলা দোকানগুলিকে বন্ধ করার কথা বলেন বিজেপি (BJP) কাউন্সিলর। পালটা তৃণমূল কর্মীরা দোকান খুলতে সক্রিয় হন। এনিয়ে দুপক্ষের বচসা ও হাতাহাতি হয়। অভিযোগ, বন্ধের বিরোধিতা করে দোকান খোলা নিয়ে তৃণমূল (TMC) কর্মীদের রীতিমতো হুমকি দেন তিনি। পুলিশের কাছে পৌঁছয় সেই অভিযোগ। এর পরই অ্যাকশনে নামে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বাড়াতে হবে সদস্য সংখ্যা, দেশজুড়ে দুই পর্যায়ে ‘সদস্যতা অভিযান’ বিজেপির]
সজলবাবুর বাড়িতে পৌঁছে তাঁকে আটক করার পদ্ধতি শুরু হয়। কিন্তু বাধ সাধেন বিশাল প্রমীলা বাহিনী। সজলবাবুর বাড়ির দরজা ঘিরে ধরেন তাঁরা। কিছুতেই কাউন্সিলরকে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন না বলে স্লোগান তোলেন। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে অশান্তি হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সজলবাবুর অনুগামীদের ভিড় বাড়তে থাকে। শেষমেশ তাঁদের হঠিয়ে বাড়ি থেকে বিজেপি কাউন্সিলরকে ভ্যানে তুলে সোজা লালবাজার (Lalbazar) নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু কেন এভাবে তাঁকে আটক করা হল? প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে সরব বিজেপি। ডিসি, সেন্ট্রালের দাবি, সজলবাবু অশান্তিতে উসকানি দিচ্ছিলেন, তাই তাঁকে আটক করা হল।