স্টাফ রিপোর্টার: শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আপাতত তাঁকে বিজেপিতে ফেরাতে চাইলেও দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারদের বিরোধিতায় ‘বাতিল’ সোনালি গুহর (Sonali Guha) গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এর মূল কারণ একটিই। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের (Assembly Election 2021) ফলের পর বিজেপিকে গালমন্দ করে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের (Kalighat) বাড়িতে গিয়ে পায়ে পড়ে বিস্তর কান্নাকাটি করেছিলেন সোনালি। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘‘মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচে না, তেমনই দিদি আপনাকে ছাড়া আমি বাঁচব না।’’ কিন্তু গত দু’বছরে তৃণমূলে কল্কে না পেয়ে পারিবারিক কিছু বিষয়ে শুভেন্দুর কাছে সাহায্য পাওয়ায় বিজেপির মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারকে ব্যক্তিগত আক্রমণে রাজি হয়েছেন সোনালি। এমন ব্যক্তিস্বার্থ দেখা ‘রুচিহীন’ মহিলাকে দলে নেওয়া ঠিক নয় বলে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন সুকান্ত, দিলীপরা।
[আরও পড়ুন: ‘সারদাকর্তার চিঠি, দিলীপের নথি দেখতে পায় না CBI?’, অভিষেককে তলব প্রসঙ্গে প্রশ্ন কুণালের]
উল্টোদিকে নিজের মুখ বাঁচাতে কোনও কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে বিজেপির মঞ্চে সোনালিকে তুলে দিতে মরিয়া চেষ্টা করছেন শুভেন্দু। কিন্তু সোনালির বিজেপিতে ফেরার চেষ্টা দলের অধিকাংশ শাখা সংগঠনও চাইছে না। মহিলা মোর্চা ও যুব মোর্চার পাশাপাশি আরএসএসের (RSS) তরফেও সোনালির আচরণ এবং কুৎসিত-কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আপত্তি জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দু’হাজারের নোট ‘বন্দি’ ঘোষণার পরই রাজস্থানের সরকারি দপ্তর থেকে উদ্ধার আড়াই কোটি!]
মহিলা মোর্চার তরফে বলা হয়েছে, পুরোপুরি সুযোগসন্ধানী ও ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে চলা সোনালি বিগত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলে (TMC) টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। সেখানেও টিকিট না পেয়ে দলের প্রচারে দু’-একটি সভা ছাড়া কোথাও যাননি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে, সোনালি এখন জনে জনে শুভেন্দুর শেখানো বুলি ‘বিজেপিতে ছিলাম, আছি, থাকব’ বলে যতই আর্তনাদ করুন না কেন, সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়কের কথায় গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপির সিংহভাগ।