shono
Advertisement
West Bengal SIR

বৃহস্পতিবার থেকেই SIR-এ শুনানির নোটিস পাঠানো শুরু কমিশনের, কত মানুষ ডাক পাচ্ছেন?

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে শুনানির নোটিস পাঠানো শুরু।
Published By: Kousik SinhaPosted: 09:21 AM Dec 18, 2025Updated: 01:40 PM Dec 18, 2025

স্টাফ রিপোর্টার: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে শুনানির নোটিস পাঠানো শুরু করল নির্বাচন কমিশন। আপাতত প্রথম পর্যায়ে ২০০২-এর তালিকায় যাঁদের বাবা-মা বা ঠাকুরদা-ঠাকুরমার নাম পাওয়া যায়নি (আনম্যাপড), তাঁদেরই নোটিস দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের ভোটারের সংখ্যাটা প্রায় ৩১ লক্ষ বলে কমিশন সূত্রে খবর। তবে এই শুনানি আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝির আগে শুরু হতে পারছে না বলে মনে করছেন কমিশন কর্তারা। অন্যদিকে ডানকুনির পর এদিন আরও দুই জায়গায় জীবিত ভোটারকে খসড়া তালিকায় 'মৃত' হিসাবে দেখানোর ঘটনার কথা জানা গিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন বিএলওকে শো-কজ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ব্লকগুলি বিডিওদের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।

Advertisement

আগের দিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল জানিয়ে দিয়েছিলেন, তালিকায় নাম থাকা যে ভোটারদের তালিকায় নাম থাকা যে ভোটারদের জমা দেওয়া তথ্য বা নথি নিয়ে সংশয় রয়েছে, তাঁদের শুনানিতে ডাকা হবে। কবে ও কোথায় তাঁদের হাজিরা দিতে হবে, তা জানিয়ে বাড়িতে নোটিশ দিয়ে আসবেন সংশ্লিষ্ট বুথের বিএলও। সে মতো এদিন সকাল থেকেই এলাকার ম্যাপিং না হওয়া (যাঁদের বাবা-মা বা ঠাকুরদা-ঠাকুরমার কোনও হদিশ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় পাওয়া যায় নি) ভোটারদের বাড়ি গিয়ে নোটিশ ধরানো শুরু করেছেন বিএলওরা।

কমিশনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী রাজ্যে এই ধরনের 'আনম্যাপড' ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩০.৫৯ লক্ষ। এর পর ডাক পেতে চলেছেন ১.৩৬ কোটি ভোটার, যাদের ক্ষেত্রে নিজের বয়স, বাবার নাম না মেলা, বাবা-মার সঙ্গে অথবা ঠাকুরদা-ঠাকুমার সঙ্গে বয়সের পার্থক্য, লিঙ্গ না মেলার মতো অসঙ্গতি রয়েছে। যারা বাবা, মা, ঠাকুরদা ও ঠাকুরমার বদলে মামা বা মাসির মতো মাতৃকূলের কাউকে দিয়ে নিজেকে ম্যাপিং করিয়েছেন, তাঁরাও এই ডাক পাওয়ার তালিকায় আছেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত এই ১.৩৬ কোটি থেকে কিছুটা কমবে বলেই কমিশন কর্তাদের বিশ্বাস। তবে এখনও জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে শুনানি কী ভাবে করা হবে, তা নিয়ে দিল্লি থেকে স্পষ্ট কোনও পথনির্দেশ না আসায় শুনানি শুরু হতে হতে আগামী সপ্তাহের বুধ বা বৃহস্পতিবার হয়ে যাবে বলে ধারণা কমিশন কর্তাদের।

এদিকে ডানকুনির পর এদিন মাটিগাড়া নক্সালবাড়িতে শিবানী পাল এবং কোচবিহার দক্ষিণে অশ্বিনী ও শিবানী অধিকারী নামে মোট তিন ভোটারকে খসড়া ভোটার তালিকায় 'মৃত' বলে দেখানোর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। আগের দিন সূর্য দে নামে ডানকুনি পুরসভার এক কাউন্সিলারকে 'মৃত' দেখানোর ঘটনায় রাজ্যজুড়ে হইচই শুরু হয়েছিল। বুধবার সংশ্লিষ্ট তিন বিএলওকেই শো কজ করেছে কমিশন। একইসঙ্গে চণ্ডীপুর, কোচবিহার দক্ষিণ ও মাটিগাড়া নক্সালবাড়ির বিডিওদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনায় বাদুড়িয়র চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে দুলাল মৃধা, ইয়ারুন বিবি, সোমা স্বর্ণকার, শিখা মন্ডল, মীরা চক্রবর্তী-সহ সাতজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ। অথচ এঁদের ভোটার কার্ড আছে ও আগে বহু নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। চুঁচুড়ার নলডাঙার বাসিন্দা স্নেহময় ভট্টাচার্যর অভিযোগ, তাঁর জীবিত পুত্রকে 'মৃত' বলে দেখানো হয়েছে। তিনি জানান, ছেলে দেবময় কর্মসূত্রে জামশেদপুরে থাকায় সেখানকার ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলেছেন। সেকথা বিএলওকে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু তালিকা প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে 'স্থানাতরিত'-র বদলে দেবময়কে 'মৃত' বলে দেখানো হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে শুনানির নোটিস পাঠানো শুরু করল নির্বাচন কমিশন।
  • প্রথম পর্যায়ে ২০০২-এর তালিকায় যাঁদের বাবা-মা বা ঠাকুরদা-ঠাকুরমার নাম পাওয়া যায়নি (আনম্যাপড), তাঁদেরই নোটিস দেওয়া হচ্ছে।
  • এই ধরনের ভোটারের সংখ্যাটা প্রায় ৩১ লক্ষ বলে কমিশন সূত্রে খবর।
Advertisement