সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার থেকে সরকারি কাজ শেষের পর আর অপেক্ষা নয়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মিলবে টাকা। ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়ে নতুন পোর্টাল চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এই উদ্যোগ বলে জানান তিনি।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকারি কাজ করার পর যাতে তাঁরা টাকা পেতে কোনও সমস্যায় না পড়েন, তাই এই পোর্টাল চালু করা হয়েছে। সরকারি কাজ শেষের পর ওই পোর্টালে তথ্য আপলোড করতে হবে। তারপরই এই পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত ৭২টি ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য আর্থিক সংস্থা দ্রুত টাকা দিয়ে দেবেন ব্যবসায়ীকে। ওই টাকা পরে রাজ্য সরকার ব্যাঙ্ক কিংবা আর্থিক সংস্থাকে ফেরত দেবে। এছাড়া ওই পোর্টালের মাধ্যমে অভিযোগও জানাতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী। আগামী দিনে রাজ্যের অর্থনীতি আরও ফেঁপেফুলে উঠবে বলেই আশাবাদী মমতা।
বাংলা যে বাণিজ্যের জন্য উপযুক্ত, এদিনের মঞ্চ থেকে ব্য়বসায়ীদের বারবার সে বার্তা দেন মমতা। অনলাইন কেনাকাটির রমরমা বাড়লেও খুচরো ব্যবসায়ীরাই রাজ্যের অর্থনীতির মেরুদণ্ড বলেই উল্লেখ করেন মমতা। তাঁর কথায়, “অসংগঠিত ক্ষেত্রে ৬৫ লক্ষ ব্যবসায়ী রয়েছেন। রাজ্যে খুচরো ব্যবসায়ীরাই বাংলার অর্থনীতির মেরুদণ্ড।” কেন্দ্রের নোটবন্দির সিদ্ধান্তের তুলোধোনা করে গত কয়েক বছরে রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা। তিনি বলেন, “বেকারত্বের হার ছিল ৪০ শতাংশ। আমরা কমিয়েছি। ৬টি ইকোনমিক করিডর বানাচ্ছি। তার চারপাশে শিল্প, দোকান তৈরি হবে। খুচরো বিক্রেতারা লাভবান হবেন। লজিস্টিককে আমরা শিল্পের মর্যাদা দিয়েছি। কলকাতা, শিলিগুড়ি এক্সপোর্ট সেন্টার খোলা হয়েছে।” ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নতির প্রশংসাও করেন। বলেন, "বাংলায় ৬৬০টির বেশি এমএসএমই ক্লাস্টার রয়েছে। ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে যুক্ত। মহিলারাও এগিয়ে রয়েছেন। কয়েক লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে।” কেন্দ্রের নোটবন্দির সিদ্ধান্তের তুলোধোনা করে গত কয়েক বছরে রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা। তিনি বলেন, “বেকারত্বের হার ছিল ৪০ শতাংশ। আমরা কমিয়েছি। ৬টি ইকোনমিক করিডর বানাচ্ছি। তার চারপাশে শিল্প, দোকান তৈরি হবে। খুচরো বিক্রেতারা লাভবান হবেন। লজিস্টিককে আমরা শিল্পের মর্যাদা দিয়েছি। কলকাতা, শিলিগুড়ি এক্সপোর্ট সেন্টার খোলা হয়েছে।” আগামী দিনে শিল্পক্ষেত্রে বাংলা গোটা বিশ্বকে পথ দেখাবে বলেই আশা মমতার।
