সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থেকে বাংলার শ্রমিকদের সুরাহা দিতে রাজ্য সরকারই সেই দায়িত্ব নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, বঞ্চিতদের বকেয়া মিটিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। ১ মার্চ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে সেই অর্থ। সেইমতো শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তিকরণের জন্য রাজ্যজুড়ে শিবির শুরু হয়েছে সরকারের তরফে। আর নন্দীগ্রামে (Nandigram) হামলা চালিয়ে সেই শিবির ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সোশাল মিডিয়ায় তা নিয়ে গর্জে উঠলেন। বিজেপিকে (BJP) ‘জমিদার’ বলে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় বকেয়া থেকে বঞ্চিত শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তিকরণের শিবির শুরু হয়েছে ১৮ তারিখ থেকে। চলবে ২১ তারিখ পর্যন্ত। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত এই শ্রমিকের সংখ্যা ২৪০০। তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে এই শিবিরগুলিতে। নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে এমনই একটি শিবির চলছিল। অভিযোগ, সোমবার দুপুরে গোকুলনগরের সেই ক্যাম্পে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ক্যাম্পে ফর্ম ফিলআপ চলছিল। কিন্তু সেসব কাজ বন্ধ করে তছনছ করা হয় বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় শিবিরে থাকা তৃণমূলের (TMC) মহিলা সদস্যদেরও। শিবিরে উপস্থিত লোকজন পালটা প্রতিরোধ করেন। তবে ততক্ষণে ক্যাম্পটি কার্যত ভেঙে পড়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘কাঞ্চন আমাকে ভালো সামলাবে’, ৫৩-র তারকা বিধায়ককে বিয়ে করেই ট্রোলের জবাব শ্রীময়ীর]
এনিয়ে গোকুলনগরের পঞ্চায়েত সদস্য নিবেদিতা ভুঁইঞার অভিযোগ, ”আমাদের ক্যাম্প চলছিল। ফর্ম ফিলআপের কাজ করছিল। কিন্তু বিজেপির গুন্ডারা শিবিরে হামলা চালিয়ে সব লন্ডভন্ড করে দেয়। আমাদের মারধর করে। আমার শাড়ি ধরে টেনেছে। আমার বুকে আঘাত লেগেছে। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি, মেডিক্যালও করেছি।” তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) অভিযোগ, ”বিজেপি চায় না যে ওই টাকা পাক বঞ্চিত শ্রমিকরা। তাই এই হামলা হচ্ছে। সেখানকার মানুষজনের প্রতিরোধে দুষ্কৃতীরা পিছু হঠে। আমি চাই, হামলাকারীরা দ্রুত গ্রেপ্তার হোক।” আর এহেন কাজকে ‘জমিদারি’ বলে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। X হ্যান্ডলে তিনি লম্বা পোস্ট করেছেন।