shono
Advertisement

এক প্রার্থী পদে ১০ নাম! জলপাইগুড়ি-জটে বিজেপি, ভোট আবহে ঘরেই কর্মীরা

কাদের নাম রয়েছে তালিকায়?
Posted: 01:54 PM Mar 05, 2024Updated: 01:54 PM Mar 05, 2024

বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য , শিলিগুড়ি: প্রার্থী কে? সেই ধন্দে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের (Lok Sabha Election 2024) গেরুয়া শিবিরে ভোট নিয়ে তেমন কোনও উত্তেজনা নেই। এমনকি কর্মসূচিও। ঘরোয়া জল্পনায় নেতা-কর্মীদের কাটছে দিন। এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম নিয়ে চাপানউতোর তুঙ্গে।

Advertisement

নতুন মুখ চেয়ে একদুটো নাম নয়। জলপাইগুড়ি জেলার পুরনো বিজেপি নেতা-কর্মী মহল থেকে দিল্লিতে পৌঁছেছে অন্তত দশজনের নাম এবং তাঁদের ‘বায়োডাটা’। নাম পাঠানোর সঙ্গে তারা লিখিতভাবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আর্জি রেখেছেন ‘যাকেই প্রার্থী করুন না কেন তিনি যেন দলের নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে চলাফেরার দক্ষতা রাখেন।’ বর্তমান সাংসদ জয়ন্ত রায়কে ‘ভালো’ মানুষের সার্টিফিকেট দিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘দলের যে কর্মীরা মুখে রক্ত তুলে তাকে জিতিয়েছেন পরে তাদের তিনি এড়িয়ে চলেছেন। দেখা হলেও কথা বলতেন না। এই ধরনের ভালো মানুষ দিয়ে কী লাভ!’

[আরও পড়ুন: জলভরা সন্দেশেই মিটল ‘তিক্ততা’! ‘TMC একটাই পরিবার’, সুদীপের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দাবি কুণালের]

বিজেপির মজদুর মোর্চার মালবাজার এলাকার নেতা পঙ্কজ তিওয়ারি বলেন, “২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আমরা যারা তাঁকে জিতিয়ে এনেছি তিনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। নতুন লোকজন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন। ওই কারণে দল দুর্বল হয়েছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, দলের পুরনো কর্মীদের এই ধরনের মতামত পেয়েই সম্ভবত শনিবার প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এই আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। এই মুহূর্তে তারা যদি দলের ‘নব্য’ এবং ‘আদি’ দু’পক্ষের গ্রহণযোগ্য প্রার্থীর খোঁজ করে থাকেন সেটাও আশ্চর্যের কিছু হবে না। যদিও বিজেপি জেলা নেতৃত্ব ওই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এমনকি বিতর্ক এড়াতে দলের জেলা সম্পাদক বাপি গোস্বামী এবং সাংসদ জয়ন্ত রায় ফোন ধরেননি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য শ্যামচাঁদ ঘোষ অবশ্য বলেন, “কে কোথায় কী বলছেন দেখে লাভ নেই। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যাকে প্রার্থী করবেন দলের নেতা-কর্মীরা তাকে জিতিয়ে আনবেন।”

জলপাইগুড়ির ‘আদি’ অর্থাৎ পুরনো বিজেপি কর্মীদের একাংশের সূত্রে ইতিমধ্যে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে অ্যাথলেট স্বপ্না বর্মনের নাম সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, এছাড়াও দুলালচন্দ্র রায়, সৌজিত সিংহ, চন্দন বর্মন সহ দু’জন চিকিৎসক, অধ্যাপক এবং শিক্ষকের নাম রয়েছে। এদিকে দলের রাজ্যস্তরের একটি অংশ সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়কেও প্রার্থী হিসেবে চাইছেন। যদিও দলের ‘আদি’ নেতা-কর্মীরা তো বটেই। জলপাইগুড়ি জেলা কমিটিও সেই প্রস্তাবে ‘ভেটো’ দিতে ভুলছে না। পাহাড়ের মতো এখানেও ‘ভূমিপুত্র’-কে প্রার্থী করার দাবি জোড়ালো হয়েছে। ওই পরিস্থিতিতে কে প্রার্থী হচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে শিকেয় ছিড়ছে সেই ধন্দে পড়ে জেলার বিজেপি নেতা ও কর্মীরা এই মূহুর্তে ভোট কেন্দ্রীক কোনও কর্মসূচি নিতে পারছেন না বলেই দলীয় সূত্রে খবর। সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে ক্রমশ বেড়ে চলেছে বাদানুবাদ। পুরনো নেতা-কর্মীদের বড় অংশ জানিয়ে রাখতে ভুলছেন না, বর্তমান সাংসদের পরিবর্তে দল যে ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করবে তাঁকে মেনে নিতে কোনও সমস্যা নেই।

[আরও পড়ুন: রাজনীতিতে বাণপ্রস্থ ঘোষণা করেও প্রত্যাবর্তন, লোকসভা ভোটের প্রার্থী হচ্ছেন মিমি?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement