নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: হিমাচলপ্রদেশ (Himachal Pradesh) বিধানসভা নির্বাচনে ‘অগ্নিপথ’ (Agnipath Scheme) পার হতে হবে বিজেপিকে (BJP)। গত জুনে কেন্দ্রের মোদি সরকারের তরফ থেকে সেনাবহিনীতে নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তিভিত্তিক এই প্রকল্প ঘোষণার পরেই এর প্রতিবাদে জ্বলে উঠেছিল সারা দেশ। তাতে শামিল হয়েছিল হিমাচলপ্রদেশও।
সেনাবাহিনীতে যে রাজ্য থেকে সর্বাধিক সেনাবহিনীতে যোগ দেয় তাতে এক নম্বরে রয়েছে এই পাহাড়ি রাজ্যই। স্বাভাবিকভাবেই, চার বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পরে অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ কী হবে সেই চিন্তায় ঘুম উবেছিল হিমাচলের বহু মানুষের।
[আরও পড়ুন: রাজস্ব ঘাটতির গুঁতো, বাজেটের তুলনায় খরচে কাটছাঁট করছে কেন্দ্র, চাপ একাধিক ক্ষেত্রে]
দেখা যাচ্ছে, ভোট প্রচারের সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) থেকে শুরু করে বিজেপির কোনও নেতাকেই এবার সেনাবহিনীর কথা বলে আস্ফালন করতে দেখা যায়নি। এবারের নির্বাচনের আগে মোদিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আপনারা যেখানেই পদ্মের প্রতীক দেখবেন, বুঝে যাবেন আপনার কাছে বিজেপি ও মোদি এসেছে।” তাঁর দাবি ছিল, বিজেপির প্রার্থী যিনিই হোন না কেন, আসলে পদ্মশিবিরে ভোট দেওয়া মানে মোদিকেই ভোট দেওয়া।
কিন্তু এত কথা বললেও অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে অন্য নেতাদের মতো খোদ মোদির মুখেও একপ্রকার কুলুপই বলা চলে। কিন্তু তাতে হিমাচলের মানুষের মনে অগ্নিপথের বিরোধিতার আগুন পুরোপুরিভাবে নিভে গিয়েছে এমনটি বললে বাড়াবাড়ি হবে। লেলিহান শিখা দেখা না গেলেও অগ্নিপথের বিরোধিতার আগুন হিমাচলে ধিকিধিকি জ্বলছেই।
[আরও পড়ুন: তিনদিন বাদে হাজারের উপরে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ল মৃত্যুও]
আজই, বৃহস্পতিবার শেষ ভোট প্রচার হিমাচলপ্রদেশের। তার আগে বুধবার সেখানে জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। হিমাচলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ‘পরিবর্তনের’ ধারা রয়েছে। এবার সেই ধারা ভাঙতে চলেছে এবং অগ্নিপথ বিরোধিতার ইস্যু সেখানে শেষ হয়ে গিয়েছে বলেই বিজেপির শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে ঠিকই, তবে সেই দাবিতে গলার জোর কমই। অগ্নিপথ পার হওয়া সহজ যে নয়, তারা তা নিজেরাও জেনে গিয়েছে বলেই কি?