সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক আন্দোলন নিয়ে শচীন তেণ্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকর, অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar), বিরাট কোহলির (Virat Kohli) মতো তারকাদের করা টুইটের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি আইটি সেল এবং ১২ জন প্রভাবশালী। সোমবার এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তাঁর দাবি, প্রাথমিক তদন্তের পর নাকি এই তথ্যই উঠে এসেছে মুম্বই পুলিশের হাতে।
ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে রিহানা, গ্রেটা থুনবার্গ, মিয়া খালিফার মতো আন্তর্জাতিক তারকারা মুখ খোলার পরই দেশের একাধিক তারকা তাঁদের পালটা দিতে আসরে নামেন। কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতের সংহতি রক্ষার বার্তা দেন শচীন তেণ্ডুলকর (Sachin Tendulkar), লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar), সুনীল শেট্টি, অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar), বিরাট কোহলির (Virat Kohli) মতো তারকারা। সকলেই ডাক দেন বিদেশি শক্তির দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে ‘ঐক্যবদ্ধ ভারত’ গড়ার। মজার কথা হল, কমবেশি সকলের টুইটের ভাষাও ছিল একইরকম। অক্ষয় কুমার এবং সাইনা নেহওয়ালের টুইট আবার হুবহু মিলে গিয়েছিল। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়। মহারাষ্ট্র সরকার ঘোষণা করে সেলিব্রিটিদের এই টুইট নিয়ে তদন্ত হবে। এই টুইটগুলির নেপথ্যে কারা? কোনওপ্রকার চাপের মুখে পড়ে তারকারা এই টুইট করেছেন কিনা? সবটাই খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় মহারাষ্ট্র সরকার। শিব সেনা, কংগ্রেস, এনসিপি জোট সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, টুইটের তদন্তের নামে আসলে শচীন, লতাদের মতো সেলেবদের অপমান করছে জোট সরকার।
[আরও পড়ুন: বেসরকারিকরণের জন্য আরও চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে বাছল কেন্দ্র, আশঙ্কায় গ্রাহকরা]
তবে, সেসব কটাক্ষে তোয়াক্কা না করে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মহারাষ্ট্রের জোট সরকার। সোমবার সেরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এখনও পর্যন্ত যা তথ্য আছে, সেই অনুযায়ী শচীন, লতাদের এই টুইটের নেপথ্যে বিজেপি আইটি সেল এবং ১২ জন প্রভাবশালীর হাত আছে। তবে, এই ১২ জন প্রভাবশালী কারা, সেটা স্পষ্ট করেননি তাঁরা। দেশমুখ জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র সরকার কোনও সেলিব্রিটির বিরুদ্ধেই তদন্ত করছে না। লতা মঙ্গেশকর তাঁদের কাছে ঈশ্বরের সমান। আর শচীন তো গোটা বিশ্বেই সমাদৃত। তাঁদের তদন্তের বিষয় এই টুইটগুলির নেপথ্যে কাদের হাত, সেটাই তদন্ত করেছেন তাঁরা। আর তাতেই উঠে এসেছে বিজেপি আইটি সেল এবং প্রভাবশালীদের তত্ত্ব।